কলকাতা, 5 জুলাই: এক ঢিলে দুই পাখি মারল কলকাতা পৌরনিগম। শহরে অপ্রতুল জায়গায় পরিবেশ বাঁচাতে বিকল্প হিসেবে গঙ্গাপাড়ে গাছ লাগানো শুরু করল কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। মঙ্গলবার প্রায় একশোরও বেশি নারকেল ও পাম গাছ লাগানো হল। এর ফলে পরিবেশ রক্ষায় এই পদক্ষেপ হলেও পাশাপশি এই গাছগুলোর জন্য পাড়ের ভাঙন কমবে অর্থাৎ ভূমিক্ষয় রোধ হবে। কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গার ধার ধরে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা আছে।
কলকাতা ও লাগোয়া হাওড়া নিয়ে এক বছরে তিন কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই নিয়ে সম্প্রতি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম উচ্চপর্যায়ে বৈঠকও করেছেন। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে। বাবুঘাট লাগোয়া এলাকায় নদীর পাড়ে 120টির মতো লাগানো হয়েছে নারকেল ও পাম গাছ। কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, "কলকাতার গঙ্গাপাড়ে এই প্রথম নারকেল গাছ লাগানো হল। পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে ভূমিক্ষয় রোধ হবে। বাজা কদমতলা ঘাট থেকে রানি রাসমণি ঘাট পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে গাছ ৷"
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতোই এই বৃক্ষরোপণ হচ্ছে। ফল মিললে আরও বেশি পরিমাণে লাগানো হবে। তবে ম্যানগ্রোভ এখন লাগানো হচ্ছে না-বলেও জানান। উল্লেখ্য, দূষণ উষ্ণায়নের জেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। তাই গাছ লাগানো ছাড়া এখন কোনও উপায় নেই দেখেই কলকাতা ও লাগোয়া হাওড়া এলাকায় এক বছরে তিন কোটি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। বিকল্প জায়গার সন্ধানে বন্দর, সেনা থেকে পূর্ত, রেল সব সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক করে জায়গা দেওয়ার আবেদন করেছেন। নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ থেকে শুরু করে শহরে দেবদারু, নিম, জামরুল মত একাধিক গাছ লাগানো হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতার বেশ কিছু ফুটপাথে তৈরি হয়েছে গ্রিন বাফার জোন।
আরও পড়ুন: পার্কিং ফি বাড়িয়েছিলাম কলকাতার লাগামহীন দূষণ রুখতে, পরিবেশ দিবসে আক্ষেপ ফিরহাদের