কলকাতা, 3 জানুয়ারি: সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee Expressed Grief Over Demise of Sumitra Sen) ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে একটি শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে শিল্পীর প্রয়াণে ৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বলা হয়েছে, ‘‘বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি ৷ তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ বয়স হয়েছিল 89 বছর ৷’’ এদিন ভোর 4টে নাগাদ কলকাতায় নিজের বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন ৷ সোমবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল। আর মঙ্গলবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গায়িকা ৷
এদিন সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণে শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘রবীন্দ্র সংগীতের অগ্রগণ্য শিল্পী সুমিত্রা সেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিজস্ব গায়কিতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন ৷ প্রশিক্ষক হিসাবে তিনি অগণিত গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী রেখে গেছেন ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে 2012 সালে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' প্রদান করেছিল ৷ সুমিত্রা সেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল ৷ তাঁর প্রয়াণে সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল ৷ আমি সুমিত্রাদির দুই কন্যা ইন্দ্রাণী-শ্রাবণী ও সুমিত্রাদির পরিবার-পরিজন, অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি ৷’’
অনেক কম বয়সেই 'গীতবিতান'-এ গান শেখা শুরু করেন সুমিত্রা সেন ৷ 'বৈতানিক'-এও সংগীতের পাঠ নেন ৷ তবে, প্রাথমিক পাঠ মায়ের কাছেই ৷ পরবর্তীকালে শিক্ষাগুরু হিসেবে অনাদি দস্তিদার, প্রদ্যুত নারায়ণ, সুরেন চক্রবর্তী, শ্রীমতি রাধারানি, সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ননীগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সংগীত ব্যক্তিত্বদের সংস্পর্শে আসেন সুমিত্রা সেন ৷
আরও পড়ুন: তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে ! তারার দেশে সুমিত্রা সেন, অভিভাবকহীন 'ত্রিবেণী'
অতি সংকটজনক অবস্থায় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুমিত্রা সেনকে গত 21 ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৷ চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, তিনি ভুগছিলেন ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় ৷ বর্ষীয়ান শিল্পীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা ৷ সোমবার শিল্পীকে তাঁর বাড়ি সপ্তপর্ণীতে ফিরিয়ে আনেন দুই মেয়ে শ্রাবণী সেন এবং ইন্দ্রাণী সেন ৷
2011 সালে সুমিত্রা সেন দায়িত্ব পান রবীন্দ্র সদনের ৷ উল্লেখ্য, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর 11 জনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছিল রবীন্দ্র সদন পরিচালনার জন্য ৷ সেই কমিটির মাথায় ছিলেন সুমিত্রা সেন ৷ কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পার্থ ঘোষ, নচিকেতা চক্রবর্তী, অলকানন্দা রায়, বনশ্রী সেনগুপ্ত, সন্ধ্যা রায়-সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা ৷