কলকাতা, 16 অগস্ট: তিন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় । বুধবার তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় অরবিন্দ ভবনের সামনে । এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, তারা ডেপুটেশন দিতে এসেছিল । তখন তাদের আটকায় বিরোধীপক্ষ । এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানায় তারা । টিএমসিপি-র নতুন মুখ রাজন্যা হালদারের জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে । যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেনি অন্য দুটি ছাত্র সংগঠন ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে চলছে তদন্ত । কী হয়েছিল ওইদিন রাতে, তা জানতে ইতিমধ্যেই 9 জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন । এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধরনায় বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন । বেলা গড়ানোর পর তাদের পক্ষ থেকে একটি দল যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ সেখানে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের ।
সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য । অন্যদিকে, সেই সময় অরবিন্দ ভবনের সামনে জেনারেল বডি মিটিং চলছিল এআইএসএ ও এআইডিএসও-এর । অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধিরা অরবিন্দ ভবনের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদেরকে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় অপর দুই ছাত্র সংগঠন । সেখান থেকেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় । একে অপরের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরবর্তীকালে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় পরিস্থিতি ।
আরও পড়ুন: 'কেউ ছাড় পাবে না', দেখা করে যাদবপুরে মৃত ছাত্রের পরিবারকে আশ্বস্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, একদিকে যখন রাস্তায় বসে ছাত্রমৃত্যুর জন্য ধরনা দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, ঠিক সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাঁচ জন প্রতিনিধি বুধবার নদিয়ায় প্রথম বর্ষের ছাত্রের বাড়িতে যান । সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । পড়ুয়ার মৃত্যুর জন্য সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি ।
অন্যদিকে, বুধবার বিকেল পাঁচটার সময় রাজভবনে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাজভবনে উপস্থিত হয়েছেন । সেখানে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের-সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত । এছাড়াও লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টকে ।