কলকাতা, 25 মার্চ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট কারচুপির বিষয়টি ধরা পড়েছে ৷ আর তাতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী সংস্থার শীর্ষকর্তা নীলাদ্রি দাস ৷ তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, নীলাদ্রি এই প্রথমবার গ্রেফতার হননি। এর আগেও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করেছিল (Earlier CID arrested Niladri Das) ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, 2019 সালের 3 জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তর্গত পটাশপুর থানায় একটি দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সেই দুর্নীতির তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিআইডি ৷ এই দুর্নীতিতে সিআইডির গোয়েন্দারা নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ৷ কিন্তু এর কয়েক মাস পরে নীলাদ্রি দাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ৷ সেখানে প্রমাণিত হয়, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে সিবিআই ৷ এরপর নীলাদ্রি দাস আদালত থেকে জামিন পান ৷
2011 সালে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷ তারপরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ গড়ে ওঠে ৷ এভাবে তিনি এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ৷ এমনকী তিনি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা এসপি সিনহার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে ৷ শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নীলাদ্রি দাসকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ কিন্তু তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সূত্রের খবর, নীলাদ্রি দাস দিল্লিতে বসবাস করলেও পরে উত্তর কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ওঠেন ৷
তিনি নাইসার সহ-সভাপতি ৷ এই কোম্পানিটি পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে ওএমআর শিট সরবরাহ করে ৷ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নীলাদ্রি দাস নিজেই কি ওএমআর শিট বিকৃতি করেছিলেন ? সে বিষয়ে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা তাঁকে জেরা করছেন ৷ কর্মসূত্রে তিনি একাধিকবার দিল্লি এবং গাজিয়াবাদে গিয়েছেন ৷ ফলে দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে আরও অন্য কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট কারচুপি! সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক