কলকাতা, 13 জানুয়ারি: 16 জানুয়ারি বেলা 11টায় ফের ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচন (Chairman Election of Jhalda municipality)। জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে হবে নির্বাচন । শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা । নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত (HC Order on Jhalda Municipality)৷ 2 ডিসেম্বর জবা মাছুয়াকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান করার যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে ।
কেন মামলা ?
গত 5 ডিসেম্বর প্রশাসক বসানোর বিষয়ে রাজ্যের নেওয়া সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । তার বদলে জেলাশাসককে পৌরসভার দায়িত্ব সামলাতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কংগ্রেসের আইনজীবীরা । মামলাও দায়ের করা হয় ।
কংগ্রেস-তৃণমূলের দড়ি টানাটানি
ঝালদা পৌরসভায় 21 নভেম্বর আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ৷ তাদের দাবি অনুয়ায়ী, 12টি আসনের মধ্যে তাদের দখলে যায় 7টি আসন । ফলে অপসারিত হন তৃণমূলের পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল । তারপর রাজ্যের শাসক দল ও কংগ্রেসের মধ্যে বিস্তর দড়ি টানাটানি হয় । এই নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যপালকে চিঠি পর্যন্ত লেখেন ৷ চিঠিতে গোটা বিষয়টি রাজ্যপালকে জানান তিনি । পরে এই নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে 5 ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট ঝালদা পৌরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে এবং পুরুলিয়ার জেলাশাসকই পৌরসভার দায়িত্ব আপাতত সামলাবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
উল্লেখ্য, 12 আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভায় আসনের নিরিখে সমীকরণ ছিল কংগ্রেস 5, তৃণমূল 5 এবং নির্দল 2 । এই অবস্থায় অনাস্থা ডাকে কংগ্রেস । আস্থা ভোটে 7-0 ভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস । এর ফলে অপসারণ করা হয় তৃণমূলের পৌরপ্রধানকে । এরই মধ্যে 2 ডিসেম্বর রাজ্যের নগরোন্নয়ন ও পৌর বিষয়ক বিভাগ কাউন্সিলার জবা মাছুয়ারকে ঝালদা পৌরসভায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করে । তার 24 ঘণ্টার মধ্যেই নির্দল কাউন্সিলার শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পৌরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলাররা । এরপর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে ।