ETV Bharat / state

Security of Kaustav Bagchi: কৌস্তভকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে অপারগ, আদালতে জানাল কেন্দ্র

কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, সিআরপিএফ (CRPF) কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির এলাকা পরিদর্শন করেছে। কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা (Central Force Security) দেওয়ায় সমস্যা আছে বেশ কিছু। সেক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য় কৌস্তভের ওই বাড়িতে বাহিনী পাঠানোর সম্ভব নয়।

Etv Bharat
কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Mar 20, 2023, 4:03 PM IST

কলকাতা, 20 মার্চ: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে ৷ প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা না-দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে পরিকাঠামোগত সমস্য়ার কথা এদিন আদালতে তুলে ধরা হয়েছে ৷

বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশি অভিযান এবং গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী ৷ সেই মামলায় রাজ্য় পুলিশকে (West Bengal Police) ভর্ৎসনা করে কৌস্তভ বাগচীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার যায় কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। কিন্তু এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, কৌস্তভ বাগচীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে ৷

আদালতে এদিন কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, সিআরপিএফ (CRPF) কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির এলাকা পরিদর্শন করেছে। কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় সমস্যা আছে বেশ কিছু। সেক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য় কৌস্তভের ওই বাড়িতে বাহিনী পাঠানো সম্ভব নয়। কৌস্তভ এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়িতে থাকেন ৷ সেখানে পৌঁছতে বাহিনীর সমস্যা আছে বলেই আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র। অন্য়দিকে এদিন আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ কমিশনার। বিচারপতি সব পক্ষকে আবেদন জানান, এখনই এই সমস্যার সমাধানে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত চায় না এই ঘটনার কোনও পুনরাবৃত্তি হোক। পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: রাহুল-কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই লক্ষ্য, মোদি-মমতাকে একযোগে আক্রমণ অধীরের

আগামী সোমবার দু'পক্ষকেই তাদের বক্তব্য এবং মতামত জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওইদিনই আদালত পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট খুলে দেখবে বলেও জানান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, গত 15 মার্চ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, চার সপ্তাহের জন্য আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে ৷ এই সময়ের মধ্যে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এই নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।

একইসঙ্গে কীসের ভিত্তিতে বড়তলা থানা মাঝরাতে কোনও কাগজ ছাড়া কৌস্তভের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা নিয়ে তাঁকে রিপোর্ট দিতেও বলেছিল আদালত। পর্যবেক্ষণে আদালত প্রাথমিক ভেবে হুমকির আশঙ্কা আছে মনে করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য সিআরপিএফের মতামতও জানতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হল নিরাপত্তা দিতে তারা অপারগ ৷

কলকাতা, 20 মার্চ: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে ৷ প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা না-দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে পরিকাঠামোগত সমস্য়ার কথা এদিন আদালতে তুলে ধরা হয়েছে ৷

বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশি অভিযান এবং গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী ৷ সেই মামলায় রাজ্য় পুলিশকে (West Bengal Police) ভর্ৎসনা করে কৌস্তভ বাগচীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার যায় কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। কিন্তু এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, কৌস্তভ বাগচীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে ৷

আদালতে এদিন কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, সিআরপিএফ (CRPF) কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির এলাকা পরিদর্শন করেছে। কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় সমস্যা আছে বেশ কিছু। সেক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য় কৌস্তভের ওই বাড়িতে বাহিনী পাঠানো সম্ভব নয়। কৌস্তভ এই মুহূর্তে ভাড়া বাড়িতে থাকেন ৷ সেখানে পৌঁছতে বাহিনীর সমস্যা আছে বলেই আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র। অন্য়দিকে এদিন আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ কমিশনার। বিচারপতি সব পক্ষকে আবেদন জানান, এখনই এই সমস্যার সমাধানে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত চায় না এই ঘটনার কোনও পুনরাবৃত্তি হোক। পাশাপাশি ব্যক্তিগত আক্রমণ বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: রাহুল-কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই লক্ষ্য, মোদি-মমতাকে একযোগে আক্রমণ অধীরের

আগামী সোমবার দু'পক্ষকেই তাদের বক্তব্য এবং মতামত জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওইদিনই আদালত পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট খুলে দেখবে বলেও জানান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, গত 15 মার্চ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, চার সপ্তাহের জন্য আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে ৷ এই সময়ের মধ্যে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা এই নিয়ে কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।

একইসঙ্গে কীসের ভিত্তিতে বড়তলা থানা মাঝরাতে কোনও কাগজ ছাড়া কৌস্তভের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা নিয়ে তাঁকে রিপোর্ট দিতেও বলেছিল আদালত। পর্যবেক্ষণে আদালত প্রাথমিক ভেবে হুমকির আশঙ্কা আছে মনে করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য সিআরপিএফের মতামতও জানতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হল নিরাপত্তা দিতে তারা অপারগ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.