কলকাতা, 8 এপ্রিল : কালোবাজারি রুখতে প্রয়োগ করা হোক কড়া আইন । লকডাউনে দেশজুড়ে এই কঠিন পরিস্থিতিতে কালোবাজারি করা অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনওভাবে রেয়াত নয় । এই মর্মে স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা চিঠি দিলেন মুখ্যসচিবকে । ইতিমধ্যেই সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছে নবান্ন ।
মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেই কারণে লকডাউনের মাঝে ছাড় দেওয়া হয়েছে খাদ্য দ্রব্য এবং ওষুধের যাবতীয় উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিক্রিতে । কিন্তু তারপরও সব জিনিসের উৎপাদন সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না । লকডাউনের নানা প্রতিবন্ধকতার জেরে শ্রমিক সমস্যা রয়েছে । পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সবক্ষেত্রে সরবরাহ ঠিক মতো করা যাচ্ছে না ৷ কিন্তু, এই পরিস্থিতিতেও সক্রিয় কালোবাজারিরা । এরাজ্যেও বিভিন্নভাবে কালোবাজারি চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের । ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য । রাজ্য এবং কলকাতার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ মাঠে নেমেছে কালোবাজারিদের পাকড়াও করতে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারবার এবিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন । কেন্দ্রীয় সরকারের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে চলেছে কালোবাজারিরা । আর তাই এবার কড়া আইন প্রয়োগের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব তাঁর চিঠিতে জানান, 1955 সালের এসেনশিয়াল কমোডিটিজ় অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন । রাজ্য সরকার ঠিক করে দিক সামগ্রী কতটা মজুত রাখা যাবে । তার সঙ্গে নেওয়া হোক আনুষঙ্গিক সব ব্যবস্থা । কড়া নজরদারি চালানো হোক সর্বত্র । এক্ষেত্রে যদি কেউ নিয়ম না মানে তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হোক এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট । যাতে সাত বছরের কারাদণ্ডের নিদান রয়েছে । সঙ্গে রয়েছে জরিমানার ব্যবস্থা । প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার 30 জুন পর্যন্ত বেশ কিছু দ্রব্যের উপর জরুরি সামগ্রী সংক্রান্ত আইন কার্যকর করেছে ।