কলকাতা, 14 জুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ফের তলব করা হল শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে। আগামিকাল নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় মণীশ জৈনকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁকে একাধিক নথিপত্র সঙ্গে করে আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তাঁকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এবং তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেছিলেন।
এছাড়াও শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে চার্জশিটে তৎকালীন এই শিক্ষা সচিবের নাম যুক্ত করা হয়েছিল। ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তাঁর থেকে যে সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তা হল, যখন শিক্ষক বাছাইয়ের ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হত তখন কোনও প্রভাবশালী প্রভাব খাটাতেন কি না? আরও যা জানতে চান গোয়েন্দারা তা হল, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে প্রভাবিত করতেন কি না? এছাড়াও এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষা দফতরের অন্য এক আধিকারিক সুকান্ত আচার্য ইন্টারভিউ বোর্ডে তাঁর কোন প্রভাব খাটাতেন কি না?
মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা তাঁদের দায়ের করা 104 পাতার একটি সাপলিমেন্টারি চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন ৷ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও মণীশ জৈন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেইসময়ের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুকান্ত আচার্য এবং পরিষদীয় দফতরের ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির জাল বিছিয়ে ছিলেন। এর আগেও মণীশ জৈনকে সিবিআই তলব করেছিল ৷
আরও পড়ুন: 'আজ হাজিরা দিচ্ছি না', ইডিকে চিঠি পাঠিয়ে জানালেন অভিষেক
সেই সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন নিয়ে তাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা, সেই সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং বিভিন্ন এজেন্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত যে শুধুমাত্র যে প্রভাবশালীরা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই দুর্নীতির মামলায় যুক্ত রয়েছে তেমন নয় বরং প্রভাবশালীদের থেকেও একটি বড় অংশ যারা জেলা স্তরে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাও এই দুর্নীতির মামলায় সরাসরি ভাবে যুক্ত।