কলকাতা, 30 নভেম্বর: তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন-সহ বেশ কিছু নথিপত্র ৷ সূত্রের খবর, আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র-সহ বেশ কয়েকটি বায়োডাটাও বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তবে এই বায়োডাটাগুলি কাদের, তা এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাননি তদন্তকারীরা।
বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজোকে কেন্দ্র করে সেখানে কোটি কোটি টাকার হস্তান্তর হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর ৷ এছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাপ্পাদিত্যের একাধিকবার বিভিন্ন ব্যাংক মারফৎ লেনদেন হয় ৷ সেই খবরও পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সেই জন্যই বৃহস্পতিবার সকাল ন'টা নাগাদ সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের পাটুলির বাড়িতে হাজির হন। এখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। মূলত বাপ্পাদিত্যের থেকে তদন্তকারীরা জানতে চান যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক ছিল ? এছাড়াও জানতে চাওয়া হয় যে, তাঁর সম্পত্তির হিসাব এবং দক্ষিণ কলকাতার একটি বড় পুজোয় তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কীভাবে ব্যাংকিং লেনদেনে যুক্ত ছিলেন ?
এর আগে গতবছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাঁর বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল টাকা, গয়না ৷ পার্থ এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতার নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে ইডি ৷ তারপর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন। এমনকী প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়েও তদন্তকারীরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এখানেই পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নাম পান তদন্তকারীরা, এমনটাই দাবি।
আরও পড়ুন: