কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: একই ব্যক্তির অনেক রূপ ৷ একদিকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষক ৷ অন্যদিকে তিনি আবার অভিনয়ও করেছেন ৷ এছাড়া বসেছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) জেলাস্তরের সাধারণ সম্পাদকের পদে ৷ সেই ব্যক্তিই নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসেবে জড়িয়ে ছিলেন ৷ টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ৷ সেই শাহিদ ইমামকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI) ৷
তদন্তকারীদের দাবি, বঙ্গ রাজনীতির বেশ কয়েকজন কুশীলব ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে রীতিমতো ভালো সম্পর্ক ছিল শাহিদের ৷ তাই ওই প্রভাবশালীরা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কি না, তা এবার খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই ৷ শাহিদকে জেরা করে সেই তথ্যই জানতে চান তদন্তকারীরা ৷
তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি সিনেমা সহ টেলিভিশনে মুখ দেখানোর পর 2017 সালে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন হুগলির বাসিন্দা শাহিদ আলম ৷ জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদকও হন (TMYC Leader) ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অনুমান, এরপর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবশালীদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর ৷ সেই থেকেই তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন ৷ এমনকী ছোটখাটো অভিনয়ের জন্য মুম্বইতেও পারি দিয়েছিলেন তিনি ৷ পরে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary School Teacher) চাকরি পেয়ে যান ৷
সিবিআইয়ের দাবি, শাহিদ ওড়ার উদয়নারায়নপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন ৷ পাশাপাশি অভিনয়ও করেন৷ আরামবাগ, বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় তাঁর বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে ৷ শাসক দলের নেতা হিসেবে এলাকায় তাঁর বেশ প্রভাব প্রতিপত্তিও রয়েছে ৷ পানশালার ব্যবসার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ৷ শুক্রবার সাতজন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসের অফিসে ডেকেছিল সিবিআই ৷ শাহিদ তাঁদের মধ্য়েই ছিলেন৷ ওই সাতজনের মধ্যে শাহিদ-সহ বেশ কয়েকজনকে সিবিআই গ্রেফতার করে ৷
আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের টাকায় সিনেমা টলিউডে সিনেমা, ইডির নজরে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী