কলকাতা, 21 ডিসেম্বর: 2014 সালের প্রাথমিক টেটের প্রশ্ন ভুল সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার নতুন করে 738 জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Recruitment In HC)। মঙ্গলবার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। বুধবার সম্ভবত মামলাটির শুনানি হবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চে।
2014 সালের টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শেষ নেই। 2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় 6টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। 2018 সালে শেষ পর্যন্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানান, ওই 6টি প্রশ্নই ত্রুটিপূর্ণ। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, যাঁরা মামলাকারী তাঁদের বাড়তি নম্বর দিয়ে যদি তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলে তাঁদের চাকরি দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এরই মধ্যে এই নির্দেশ 2014 সালের সকল চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে একাধিক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত পাঠায়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে বলে নির্দেশে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: অহেতুক পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে মেট্রো ডেয়ারি মামলার শুনানি, আদালতে অভিযোগ বিকাশরঞ্জনের
এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এখনও বিচারাধীন রয়েছে বলেই আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। অথচ এরই মধ্যে তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, " সুমন দাস, রাজেন দাস-সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থীর হয়ে আমি মামলা লড়ছি। এই চাকরিপ্রার্থীদের কেউ 2 নম্বর, কেউ 3 নম্বরের জন্য টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই 6 নম্বর তাঁদের যদি দেওয়া হত ,তাঁরা উত্তীর্ণ হয়ে যেতেন। কিন্তু, তাঁদের বাদ দিয়েই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। আমাদের বক্তব্য, যোগ্য প্রার্থীদের অনেকেই বঞ্চিত হয়েছেন। তালিকায় একাধিক গলদ রয়েছে । "