কলকাতা, 11 জানুয়ারি: ইডি'র বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা 31 মার্চ পর্যন্ত ইডি'র বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।
এদিন শুনানিতে ইডি'র তরফে আইনজীবী এমভি রাজু বলেন, "অভিযোগ দায়ের করেছেন দিলদার বক্স মোল্লা নামে এক ব্যাক্তি ৷ যিনি তাঁর পরিচয় পর্যন্ত জানাননি। এফআইআর কপি তৈরি করেছেন একজন আইনজীবী। মামলাকারি ইংরেজি জানেন না। এফআইআর আপলোডও করা হয়নি।খবরের কাগজে এই সংবাদ বেরিয়েছে। ইডিকে কিছু জানানো হয়নি ৷ বাধ্য হয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে মামলা করে এফআইআর কপি চাওয়া হয় পুলিশের কাছ থেকে। এদিকে পুলিশ সিআরপিএফ ও ইডি আধিকারিকদের নোটিশ পাঠিয়েছে। ফলে আমরা ভাবছি তারা আমাদের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।"
ইডি'র আইনজীবী আরও বলেন, "শাহজাহানের বাড়িতে যখন ইডি আধিকারিকরা গিয়েছিল, প্রায় তিন হাজার লোক সেখানে জড়ো হয়ে আক্রমণ করে। ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও করে মারা হয়। এটা হঠাৎ করে সম্ভব নয়। শাহজাহান তাঁর লোকজনকে ফোন করে ডেকেছিল। ওই সময় প্রায় আধ ঘণ্টা তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল।"
তাঁর দাবি, "পুলিশ এফআইআর করে আমাদের আধিকারিকদের নাম জানতে চেয়েছিল ৷ সেদিন কারা কারা ছিল ওই অভিযানে তাও জানতে চাওয়া হয়। পুলিশ তথ্য বিকৃত করেছে। আবার নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্ত অভিযোগ দায়ের করেছে।"
অন্যদিকে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, "যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেখানে কারও নাম নেই। অপরিচিত লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যাক্তিগত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে তছনছ করার জন্য। নারী ও শিশুদের হেনস্থা করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ 35 হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বাড়ি থেকে। কিন্তু সিজার লিস্টে তার উল্লেখ নেই। পুলিশের সঙ্গে আগে থেকে কোনও আলোচনা করা হয়নি। তারা মিডিয়াকে নিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল। যখন পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায় তখন ন্যাজাট থানার পুলিশকে তারা খবর দেয়।"
এরপর বিচারপতি জানান, পুলিশের দায়ের করা অভিযোগের সময় নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। অভিযোগ দায়ের করার সময়ের বিষয়ে আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। সেইজন্য রাজ্যকে এই ব্যাপারে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। আগামী 22 জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তবে 31 মার্চ পর্যন্ত ইডি'র বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে কোনও ব্যাবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: