কলকাতা, 19 জানুয়ারি: 2016 সালের পর থেকে রাজ্যে যে যে নিয়োগ হয়েছে, তাঁরা যে বেআইনি (Illegal Appointment) পথে নিযুক্ত হননি, তা জানিয়ে প্রত্যেক জেলার ডিআই-দের রিপোর্ট দিতে হবে (Calcutta High Court seeks reports)৷ এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court order)৷ গোটা বিষয়টি রাজ্যকে খতিয়ে দেখে আদালতে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ নথি জাল করে মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষককে নিয়োগের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত (HC Order on Illegal Appointment)৷
ছেলেকে নিজের স্কুলে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে: বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ তাই ছেলেকেও সেই স্কুলেই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করতে জালিয়াতি করার অভিযোগ ৷ এক প্রার্থীর সুপারিশ পত্র এবং নিয়োগপত্র জাল করে ওই ব্যক্তি শিক্ষক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে ডিআইজি সিআইডিকে আদালতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।
স্বতঃস্ফূর্ত এফআইআর দায়েরের নির্দেশ হাইকোর্টের: এ দিন শুনানির পর বিচারপতি দেখেন, অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই প্রার্থীর নিয়োগের ব্যাপারে ডিআই-এর কাছেও কোনও নিয়োগের ফাইল নেই ৷ এতেই বিস্মিত হন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । তারপরই তিনি নির্দেশ দেন যে, ডিআইজি সিআইডি স্বতঃস্ফূর্ত এফআইআর দায়ের করে এই মামলার তদন্ত করবে ।
আপাতত অভিযুক্তের বেতন বন্ধের নির্দেশ: মুর্শিদাবাদ জেলার ডিআইকে এফআইআর করতে বলা হয়েছে । দু'সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে । পাশাপাশি অনিমেষ তিওয়ারি নামে অভিযুক্ত প্রার্থীর বেতন আপাতত বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । তিনি আপাতত স্কুলেও ঢুকতে পারবেন না বলে বিচারপতি জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যুর মামলায় হাজিরা নিয়ে খড়্গপুর আইআইটির অধিকর্তার উপর ক্ষুব্ধ বিচারপতি মান্থা
প্রত্যেক জেলার ডিআই-দের থেকে রিপোর্ট তলব: পাশাপাশি 2016 সালের পর থেকে গোটা রাজ্যে যাঁদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের নিয়োগ যে কোনও বেআইনি পথে হয়নি, সে কথা জানিয়ে প্রত্যেক জেলার ডিআই-দের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ গোটা বিষয়টি রাজ্যকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ৷ এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার আগামী 2 ফেব্রুয়ারি আদালতে হলফনামা জমা দেবে ৷
অন্যের নিয়োগপত্র জাল করার অভিযোগ: আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি । সেই স্কুলেই তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিকে শিক্ষকতার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি ৷ আর এটা তিনি করেছেন আর একজনের নিয়োগপত্র জাল করে । অবাক করা বিষয় হল, অনিমেষ ভুগোলের প্রার্থী নন । অথচ তাঁকে ভুগোলেরই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ।
গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায় আসলে আতাউর রহমান নামে এক প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছিল । নিয়োগ পত্রে একটি মেমো নম্বর থাকে ৷ সেটাই জাল করে অনিমেষ নিজের নামে করেছে বলে অভিযোগ । যদিও আতাউর রহমান নামে ওই প্রার্থীও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলে কর্মরত ।