কলকাতা, 31 অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন (West Bengal Medical Council Election) সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীদের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ মামলাকারীদের আবেদন শোনার পর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আদালতে যেসমস্ত নথি জমা দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয় ৷ তাই নতুন করে ফের সংশ্লিষ্ট সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ভট্টাচার্য ৷ আগামী 3 নভেম্বর ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, 2018 সালেই মেডিক্যাল কাউন্সিলের পূর্বতন বোর্ডের মেয়ার শেষ হয়ে যায় ৷ কিন্তু, তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নিয়ম মেনে নির্বাচন করানো হয়নি ৷ অবশেষে চলতি বছর, অর্থাৎ 2022 সালে সেই নির্বাচন করানো হয় ৷ কিন্তু, তাতেও বিস্তর অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আদালতে মামলা রুজু করা হয় ৷ সোমবার মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তিনি আদালতকে জানান, 2022 সালের সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে অশান্তি, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ
বিকাশরঞ্জনের দাবি, প্রথমত, মেডিক্যাল কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় 4 বছর পর ভোট করানো হয় ৷ দ্বিতীয়ত, এই নির্বাচনে ব্যালট পেপার নির্বাচকদের পাঠাতে হয়, কলেজের অধ্যক্ষদের পাঠাতে হয় ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি ৷ আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি ভট্টাচার্য তাঁকে বলেন, আপনি নিয়ম ভঙ্গের কথা বলছেন ৷ কিন্তু, এই নির্বাচনের নিয়মগুলি কী কী ? সেগুলি আগে আদালতকে স্পষ্ট করে দেখান ৷ যে নিয়মগুলি ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেগুলি নির্দিষ্ট করুন ৷ এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি জানান, মামলাকারীদের জমা করা নথিগুলি তাঁদের অভিযোগের নিরিখে অস্পষ্ট ৷ অর্থাৎ, এর থেকে মামলাকারীদের বক্তব্য স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না ৷ তাই ফের নথি জমা দিতে হবে ৷ একইসঙ্গে, আদালতে মামলাকারীদের হলফনামাও জমা দিতে হবে ৷
প্রসঙ্গত, মামলাকারীদের অভিযোগ, মেডিক্য়াল কাউন্সিলের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে ৷ জাল ব্যালটে ভোট দেওয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে ৷ তাই মামলাকারীরা এই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ৷ আগামী 3 নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করা হয়েছে ৷