ETV Bharat / state

Calcutta High Court : বেআইনি খাদান বন্ধ করতে রাজ্যকে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের - calcutta high court orders state government to form SIT for investigation on illegal mining

রাজ্যে বেআইনি বালি ও পাথর খাদান নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট ৷ রাজ্যকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ (calcutta high court orders state government to form SIT for investigation on illegal mining )

Calcutta High Court
বেআইনি খাদান বন্ধ করতে রাজ্যকে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
author img

By

Published : Dec 13, 2021, 5:08 PM IST

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: রাজ্যের বেআইনি বালি ও পাথর খাদান বন্ধ করতে রাজ্যকে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta high court orders state government to form SIT for investigation on illegal mining) ৷ সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামি 21 ফেব্রুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে সিটকে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷

গোটা রাজ্যেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে বেইনি বালি ও পাথর খাদান ৷ অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতেই এত রমরমা এই বেআইনি বালি ও পাথর খাদানগুলির। এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল এক সংগঠনের তরফে ৷ মামলায় বলে হয়েছে, বেআইনি বালি উত্তোলন রীতিমতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের রূপ পেয়েছে এই রাজ্যে ৷ সেই মামলাতেই আজ এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

এই সংক্রান্ত মামলায়, গত বছর অক্টোবর মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অবিলম্বে এই বেআইনি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করে, গোটা রাজ্যে অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাথর খাদানের ব্যবসা রীতিমতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক মদত ছাড়া এটা কখনওই সম্ভব হতে পারে না ৷ তাই পারস্পরিক দোষারোপ বন্ধ করে রাজ্যকে অবিলম্বে অবৈধ বালি ও পাথর খাদানগুলি বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার ও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। অজয় নদী ও দামোদর নদী-সহ অন্যান্য নদী থেকে বেআইনি বালি উত্তোলন বন্ধ করতে পুলিশকে নজরদারি চালাতেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত ৷

আরও পড়ুন : নেতাজি কি জীবিত ? আট সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

বাঁকুড়ার কোতুলপুর ,ইন্দাস এলাকায় রমরমিয়ে চলছে এই বেআইনি ব্যবসা এই অভিযোগও করা হয়েছিল হাইকোর্টে। এদিন মামলাটি ফের শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৷ রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওই এলাকায় কোনও বেআইনি খাদান ব্যবসা চলছে না। তবে পুলিশ নজর রাখছে, এই ধরনের কাজ পুলিশের নজরে এলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কিশোর মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, "গোটা রাজ্যে রমরমিয়ে এখনও চলছে এই ব্যবসা। আদালত নজরদারির জন্য বিশেষ টিম গঠনের নির্দেশ দিলেও রাজ্য এই ব্যাপারে সক্রিয় নয়।" এরপরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামি 21 ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিট গঠন করে রাজ্যকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ উল্লেখ্য, এর আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালি,পাথর তোলার অভিযোগে ন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছিল ৷ সেই মামলায় আদালত নদী থেকে বালি ও পাথর তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে বাঁকুড়া ,বীরভূম, পুরুলিয়া জেলায় রমরমিয়ে এখনও এই ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ ৷

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: রাজ্যের বেআইনি বালি ও পাথর খাদান বন্ধ করতে রাজ্যকে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta high court orders state government to form SIT for investigation on illegal mining) ৷ সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামি 21 ফেব্রুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে সিটকে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷

গোটা রাজ্যেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে বেইনি বালি ও পাথর খাদান ৷ অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতেই এত রমরমা এই বেআইনি বালি ও পাথর খাদানগুলির। এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল এক সংগঠনের তরফে ৷ মামলায় বলে হয়েছে, বেআইনি বালি উত্তোলন রীতিমতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের রূপ পেয়েছে এই রাজ্যে ৷ সেই মামলাতেই আজ এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

এই সংক্রান্ত মামলায়, গত বছর অক্টোবর মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অবিলম্বে এই বেআইনি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করে, গোটা রাজ্যে অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাথর খাদানের ব্যবসা রীতিমতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক মদত ছাড়া এটা কখনওই সম্ভব হতে পারে না ৷ তাই পারস্পরিক দোষারোপ বন্ধ করে রাজ্যকে অবিলম্বে অবৈধ বালি ও পাথর খাদানগুলি বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার ও নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। অজয় নদী ও দামোদর নদী-সহ অন্যান্য নদী থেকে বেআইনি বালি উত্তোলন বন্ধ করতে পুলিশকে নজরদারি চালাতেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত ৷

আরও পড়ুন : নেতাজি কি জীবিত ? আট সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

বাঁকুড়ার কোতুলপুর ,ইন্দাস এলাকায় রমরমিয়ে চলছে এই বেআইনি ব্যবসা এই অভিযোগও করা হয়েছিল হাইকোর্টে। এদিন মামলাটি ফের শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ৷ রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওই এলাকায় কোনও বেআইনি খাদান ব্যবসা চলছে না। তবে পুলিশ নজর রাখছে, এই ধরনের কাজ পুলিশের নজরে এলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কিশোর মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, "গোটা রাজ্যে রমরমিয়ে এখনও চলছে এই ব্যবসা। আদালত নজরদারির জন্য বিশেষ টিম গঠনের নির্দেশ দিলেও রাজ্য এই ব্যাপারে সক্রিয় নয়।" এরপরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগামি 21 ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিট গঠন করে রাজ্যকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ উল্লেখ্য, এর আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালি,পাথর তোলার অভিযোগে ন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছিল ৷ সেই মামলায় আদালত নদী থেকে বালি ও পাথর তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে বাঁকুড়া ,বীরভূম, পুরুলিয়া জেলায় রমরমিয়ে এখনও এই ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.