কলকাতা, 14 জুন: মিনাখাঁ ও ভাঙড়ে মনোনয়ন দিতে বাধার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । কাশিপুর থানা ও বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে এই দুটো অভিযোগে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, কোনও অশান্তির খবর এলেই তৎক্ষণাৎ পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে কমিশনকে ৷
আদালত বলেছে, যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তাঁদের আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন । বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে মিনাখাঁ থানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । একইসঙ্গে, হাইকোর্ট বলেছে, কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালে, তাঁরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেবে কমিশন ।
শুনানিতে সিপিএম ও আইএসএফ-এর তরফে আইনজীবী জানান, 12 জুন মিনাখাঁ ব্লক অফিসে মনোয়ন জমা দিতে যান সিপিআইএম প্রার্থীরা । সেখানে কয়েকটি গুন্ডা দাঁড়িয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয় । তারা ওই সিপিআইএম প্রার্থীদের মারধর করে বলে জানান আইনজীবী । তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ সিপিআইএম প্রার্থীদের সাহায্য করেনি এবং অভিযোগও নেয়নি । জাহানারা খাতুন মেইল করে অভিযোগ জানান নির্বাচন কমিশনে ।
আরও পড়ুন: বোমা-গুলির তাণ্ডবে আজও ভাঙড়ে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর
অন্যদিকে, ভাঙড়ে গতকাল কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন দিতে যেতে পারলেও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় । আরাবুল ইসলাম ও তাঁর দলবল হুমকি দেয় এবং মনোনয়ন দিতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ আইএসএফ প্রার্থীদের । অভিযোগকারী মোবাইলে ভিডিয়ো করলেও তা পুলিশ মানতে চায়নি বলে জানানো হয় আদালতে ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-এর বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন এখন দায়িত্বে । পুলিশ একক ভাবে কোনও কাজ করছে না । সব করছে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে । এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিয়েছে ।
এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, "আদালত অন্য কিছু শুনতে চায় না । শুধু অশান্তির খবর পেলে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন তা জানতে চায় ।" নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনও অশান্তির খবর এলে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে কমিশনকে ।