কলকাতা, 6 এপ্রিল: দিনের পর দিন এ ভাবে চলতে পারে না ৷ ডিএ নিয়ে দুপক্ষকে ফের আলোচনায় বসার মৌখিক নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবকে কর্মচারী সংগঠনের মধ্যে থেকে তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য মৌখিক নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, মহার্ঘভাতা নিয়ে দিনের পর দিন কর্মবিরতি চলতে পারে না ৷ রাজ্যের সঙ্গে কর্মচারীদের কী আলোচনা হল তা আগামী 17 এপ্রিল জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
এ দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম জানতে চান হাসপাতাল-সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবার কী অবস্থা ৷ কর্মচারী সংগঠনের তরফের আইনজীবী জানান, সমস্ত পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে । আইনজীবী সপ্তাংশু বসু জানান, তিনি যতদূর জানেন এই সমস্ত জরুরি পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি । রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "কাজের মধ্যে দিয়েই প্রতিবাদ হওয়া উচিত । পরিষেবা বন্ধ করা উচিত নয় ।"
এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, এটা কতদিন চলবে ? তিনি বলেন, এর একটা সমাধান হওয়া জরুরি । নাহলে কর্মচারীরা চাইলে তো আরও দশ-পনেরো দিন এটা চালাতে পারে !
উল্লেখ্য, বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদানের দাবিতে দীর্ঘদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় কিছুদিন আগে 3% মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা জানালেও অসন্তুষ্ট কর্মচারীরা লাগাতার ধরনা ও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন । সেই বিষয়ে কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মতলার মঞ্চ থেকে সরকারি কর্মচারীদের চোর-ডাকাত বলে সম্বোধন করেন । পাশাপাশি অনেকেই চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আজ রাজ্যের সমস্ত আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ।
কর্মচারীদের এই ঘন ঘন কর্মবিরতি পালনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার । সেই মামলাতেই হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন দুই পক্ষকে বসে কিছু সমাধান সূত্র খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়ে মুর্মু-ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের