কলকাতা, 6 ডিসেম্বর : নেতাই গণহত্যা কাণ্ডের তদন্তের গতি প্রকৃতি ও বিচারের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআই রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta high court orders cbi to submit report on netai mass killing case)। আগামী 14 ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
2011 সালের 7 জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের নেতাই গ্রামে গুলিতে প্রাণ হারান 9 জন গ্রামবাসী ৷ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে ৷ এই সংক্রান্ত মামলা পৌঁছয় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত ৷ হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে নেতাইকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের তদন্ত বাতিল করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও কেউ সাজা পায়নি।
আরও পড়ুন : Municipal Election : মে মাসের মধ্যে পৌরভোট সম্পন্ন হবে, হাইকোর্টে হলফনামা কমিশনের
নেতাই গণহত্যা কাণ্ডে এই গ্রামের অধিবাসীদের বক্তব্য, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাজ্যের তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল সিপিআইএম গ্রামের প্রত্যেক বাড়ি থেকে একজন করে সদস্য দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা আপত্তি তোলেন। 2011 সালের 7 জানুয়ারি গ্রামবাসীরা যখন এলাকায় মিছিল করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, সেই সময় নির্বিচারে গুলি করে নয় জনকে হত্যা করা হয় এবং আহত হয়েছিলেন প্রায় 30 জন। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করলেও 2013 সালে কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডির হাত থেকে তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। 2014 সালে সিবিআই এই ঘটনায় কুড়ি জনের নামে চার্জশিট দেয়। এই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।