কলকাতা, 12 জুলাই: রাস্তায় কীভাবে উড়ছিল ব্যালট পেপার ? গণনা কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার বাইরেই বা এল কী করে ? হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার বাইরে আসার ঘটনায় বিডিওকে এভাবেই কড়া প্রশ্নে বিঁধল কলকাতা হাইকোর্ট । এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে বিডিওকে 20 জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়র নির্দেশ আদালতের । শুধু তাই নয়, গণনা কেন্দ্র থেকে বাইরে বেরোনো ব্যালট পেপারের ভিডিও ফুটেজ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টের টেকনিক্যাল টিমের উপস্থিতিতে সেই ফুটেজের কপি নিতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত ।
জাঙ্গিপাড়ায় গণনা কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার যাওয়া নিয়ে বিডিওকে এদিন নিশানা করেন বিচাপতি সিনহা । বিচারপতি বলেন, "সবাই জানে একবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে পারলেই পাঁচ বছরের জন্য টাকা আয়ের রাস্তা পাকা । কেন সজাগ থাকা গেলো না ।" গতকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিডিওকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন বিডিও আদালতে এসে জানান, প্রিসাইডিং অফিসারকে দেওয়া হয়েছিল ব্যালট পেপার। রিটানিং অফিসার কুড়িয়ে পাওয়া ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর খুঁজে পাননি । প্রিসাইডিং অফিসারদেরকেই নিজেদের দায়িত্বে রাখতে হয় ব্যালট। এরপরেই ওই বিডিওর থেকে হলফনামা চেয়েছে আদালত ৷
এদিন মামলার শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীর কথোপকথন গুরুত্ব পায় । যেখানে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্রাচার্য বলেন, "এই ঘটনার সঠিক তদন্ত দরকার। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বিরোধী পক্ষের এজেন্ট সেখানে উপস্থিত রয়েছেন । কিন্তু গণনা কেন্দ্রের বাইরে যে তাণ্ডব চলেছে সেই ফুটেজ পাওয়া যায়নি । "
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যালট কেন্দ্রিক মামলা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই । এদিন তাই কমিশনের পক্ষের আইনজীবী বলেন," এই ঘটনার সত্যতা থাকলেও হাজার ব্যালট পেপারের মধ্যে 400 পেপার ব্যবহার করা হয় নি। যা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ফিরে আসে। সেখান থেকেই ওই ব্যলট পেপার বাইরে বেরোতে পারে । যে 400 ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়নি সেগুলোই বাইরে বেরোতে পারে ৷ ভোট গণনার পর ওই ব্যালট পেপারের কোনও গুরুত্ব থাকে না। " শুনানি শেষে আদালত বিডিওকে হলফনামা জমার নির্দেশ দেয় । 25 জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৷