ETV Bharat / state

Calcutta High Court: বিহারে গিয়ে মৃত নাবালিকা, পলাতক স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

author img

By

Published : Aug 3, 2022, 10:07 PM IST

বিহারে গিয়ে রহস্য জনকভাবে স্বামীর হাতে খুন সোনারপুরের মেয়ে, ন্যায়বিচারের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বাবা ৷ আর এদিন কোর্টের তরফ থেকে এই মামলার নিস্পত্তি করা হল (Calcutta High Court on Girl Murder) ৷

Girl Murder in Bihar
অন্য রাজ্যে হওয়া মেয়ের মৃত্যুর মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টে

কলকাতা, 3 অগস্ট: বিহারে গিয়ে রহস্য জনকভাবে মৃত্যু সোনারপুরের মেয়ের। মত্যুর পর স্বামী পলাতক। মেয়ের মৃত্যু হলেও তার দেহ দেখতে পাননি বাবা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেয়ে রাখী মণ্ডলের বাবা। কিন্তু বিহার পুলিশ যেহেতু এই ঘটনার তদন্ত করছে তাই মামলার নিস্পত্তি করে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court on Girl Murder)।

ন্যায়বিচারের দাবিতে পরিবারকে এখন যেতে হবে বিহারের ছাউরাদানু থানায়। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2021 সালের 22 এপ্রিল বিশু মণ্ডলের নাবালিকা কন্যা রাখী মণ্ডল (17) নিখোঁজ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতিতে কিছুদিন পরে বিশু মণ্ডল জানতে পারেন মেয়ের সঙ্গে সাগর ঘোষ নামে একটি ছেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সেই পরস্থিতিতে বিশুবাবু সব মেনে নেন।

মেয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসে সেখানে কিছুদিন থেকেও যান। জামাই এবং শাশুড়িও সেইসময় এসেছিলেন বিশুবাবুর বাড়িতে। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর মামনি সেন নামে মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো রোজগারের আশায় মেয়ে এবং বিশুবাবুর জামাই পাড়ি দেন বিহারে। মামনি সেন বিহারে সুতোর কারখানায় কাজের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: অশান্তি আটকাতে সতর্ক থাকতে হবে, রাজ্যকে বার্তা হাইকোর্টের

অভিযোগ মামনি সেন নামের ওই ভদ্রমহিলা বিহারে বার চালাতেন ৷ রাখী মণ্ডলকে কাজে লাগানোর জন্য তিনি সেখানে নিয়ে যান। 2022 সালের মে মাসে হঠাৎ করে বিশুবাবুকে বিহারের ছাউরাদানু থানা থেকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। মেয়ের দেহ সৎকারও করা হয়ে গিয়েছে। মামনি সেন নামের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।

তদন্তে উঠে আসে মেয়েটির স্বামী সাগর ঘোষই তাঁকে খুন করেছে। তার তদন্ত চলছে। 14 জুন 2022 মামলাকারী বিশু মণ্ডল সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সোনারপুর থানা ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করলে জানা যায়, নম্বরটা বিহারের একজন পুলিশ অফিসারের যিনি এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাগর ঘোষ নামে যে ছেলেটি বিয়ে করে নিয়ে গিয়েছিলেন সে এখন পলাতক।

আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার রদবদলের দিনই পরেশকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, "আমাদের মূল বক্তব্য ছিল বিশুবাবুর মেয়ে যদি মারা গিয়েও থাকেন তাহলে পিতা হিসাবে তাঁর অধিকার রয়েছে মেয়ের দেহ দেখার। কিন্তু পুলিশকে জানানো হয়েছে মেয়েটির শাশুড়ি নাকি সৎকার করেছে রাখীর মৃতদেহের। ফলে তার দেহ ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা নেই। এখন দোষীকে উপযুক্ত শাস্তির জন্য বিহারে গিয়ে যা আইনি ব্যবস্থা করার করতে হবে।"

কলকাতা, 3 অগস্ট: বিহারে গিয়ে রহস্য জনকভাবে মৃত্যু সোনারপুরের মেয়ের। মত্যুর পর স্বামী পলাতক। মেয়ের মৃত্যু হলেও তার দেহ দেখতে পাননি বাবা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেয়ে রাখী মণ্ডলের বাবা। কিন্তু বিহার পুলিশ যেহেতু এই ঘটনার তদন্ত করছে তাই মামলার নিস্পত্তি করে দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court on Girl Murder)।

ন্যায়বিচারের দাবিতে পরিবারকে এখন যেতে হবে বিহারের ছাউরাদানু থানায়। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2021 সালের 22 এপ্রিল বিশু মণ্ডলের নাবালিকা কন্যা রাখী মণ্ডল (17) নিখোঁজ হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতিতে কিছুদিন পরে বিশু মণ্ডল জানতে পারেন মেয়ের সঙ্গে সাগর ঘোষ নামে একটি ছেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সেই পরস্থিতিতে বিশুবাবু সব মেনে নেন।

মেয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসে সেখানে কিছুদিন থেকেও যান। জামাই এবং শাশুড়িও সেইসময় এসেছিলেন বিশুবাবুর বাড়িতে। বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর মামনি সেন নামে মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো রোজগারের আশায় মেয়ে এবং বিশুবাবুর জামাই পাড়ি দেন বিহারে। মামনি সেন বিহারে সুতোর কারখানায় কাজের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: অশান্তি আটকাতে সতর্ক থাকতে হবে, রাজ্যকে বার্তা হাইকোর্টের

অভিযোগ মামনি সেন নামের ওই ভদ্রমহিলা বিহারে বার চালাতেন ৷ রাখী মণ্ডলকে কাজে লাগানোর জন্য তিনি সেখানে নিয়ে যান। 2022 সালের মে মাসে হঠাৎ করে বিশুবাবুকে বিহারের ছাউরাদানু থানা থেকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। মেয়ের দেহ সৎকারও করা হয়ে গিয়েছে। মামনি সেন নামের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিহার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।

তদন্তে উঠে আসে মেয়েটির স্বামী সাগর ঘোষই তাঁকে খুন করেছে। তার তদন্ত চলছে। 14 জুন 2022 মামলাকারী বিশু মণ্ডল সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সোনারপুর থানা ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করলে জানা যায়, নম্বরটা বিহারের একজন পুলিশ অফিসারের যিনি এই ঘটনার তদন্ত করছিলেন। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাগর ঘোষ নামে যে ছেলেটি বিয়ে করে নিয়ে গিয়েছিলেন সে এখন পলাতক।

আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার রদবদলের দিনই পরেশকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

মামলাকারীর আইনজীবী ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, "আমাদের মূল বক্তব্য ছিল বিশুবাবুর মেয়ে যদি মারা গিয়েও থাকেন তাহলে পিতা হিসাবে তাঁর অধিকার রয়েছে মেয়ের দেহ দেখার। কিন্তু পুলিশকে জানানো হয়েছে মেয়েটির শাশুড়ি নাকি সৎকার করেছে রাখীর মৃতদেহের। ফলে তার দেহ ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা নেই। এখন দোষীকে উপযুক্ত শাস্তির জন্য বিহারে গিয়ে যা আইনি ব্যবস্থা করার করতে হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.