কলকাতা, 22 নভেম্বর: আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আইপিএস কে জয়রামনের নেতৃত্বে গঠিত সিটের রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট । আগামী 18 নভেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সিটকে এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
হাইকোর্টের বক্তব্য, চলতি বছর 10 জুলাই থেকে 18 নভেম্বরের মধ্যে কী তদন্ত হয়েছে, রিপোর্টে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই । সেই বিষয়ে জানাতে হবে আগামিদিনে । এখনও কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করতে পুলিশ পেরেছে কি না, তাও জানাতে হবে আগামী শুনানিতে ।
আইআইটি খড়গপুর এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে । তাতে বিরক্ত হয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতদিন ধরে একটা খুনের তদন্তে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে । এর মধ্যে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হতে পারে । এর দায় কে নেবে ! আইআইটি কেন আপত্তি করছে, তাও অজানা ।
এ দিন বিচারপতি বলেন, ‘‘খড়গপুর আইআইটি কলেজের ছাত্র ফাইজান আহমেদের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কলেজের ভূমিকা সন্দেহের উর্ধ্বে নয় ।’’ এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন সিটের প্রধান কে জয়রামনের নেতৃত্বাধীন দলের উদ্দেশ্যে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "আমার আশঙ্কা যেভাবে তদন্ত চলছে, তাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে ।"
গত 13 সেপ্টেম্বর থেকে 18 নভেম্বর পর্যন্ত সিএফএসএল-এর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর হাইকোর্টের গঠিত নতুন সিট কী তদন্ত করল, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত ৷ তদন্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, "এত ধীরগতিতে যদি তদন্ত চলতে থাকে, তাহলে তদন্ত কবে শেষ হবে, তাও স্পষ্ট হচ্ছে না ।"
এ দিন সিটের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, বেশ কিছু সন্দেহভাজন ছাত্রের নাম আইআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য । কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন না করে জানায় যে এখন ছাত্রদের পরীক্ষা চলছে, তাই তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না । শীঘ্রই সিট সমস্ত সন্দেহভাজন ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছে আদালতের কাছে ।
সিট-এর কাছে মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছিলেন বিচারপতি । কেস ডায়েরি দেখে হতাশা প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । আদালতের বক্তব্য, তিন মাস কেটে গিয়েছে সিট কিছুই তদন্ত করেনি । আগামী 18 ডিসেম্বর সন্দেহভাজন ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ৷
আরও পড়ুন: