ETV Bharat / state

Park Street Gang Rape Case : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণে নির্যাতিতার বয়ান বিচারের কাজে ব্যবহারের অনুমতি দিল না হাইকোর্ট

author img

By

Published : May 6, 2022, 9:34 PM IST

2012 সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্কস্ট্রিটে গণধর্ষণের (Park Street Gang Rape Case) ঘটনায় নির্যাতিতার বয়ানকে এতদিন পর বিচারের কাজে ব্যবহারের অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট ৷ নির্যাতিতার মৃত্যু হলেও এখনও চলছে মামলা ৷ তবে হাইকোর্টের এহেন অনুমতি কী অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস পেতে সাহায্য করবে ? উঠছে প্রশ্ন ৷

park street gang rape
পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলা

কলকাতা, 6 মে : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণের মামলায় নতুন মোড় । 2012-এর ঘটনার এতদিন পর বিচারের কাজে নির্যাতিতার বয়ান ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court not allow the use of the Statement of Victim in the Park Street Gang Rape) ৷ শুক্রবার হাইকোর্টের দেওয়া এই নির্দেশে মূল অভিযুক্ত কাদের খান খালাস পেয়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্নই ঘুরতে শুরু করেছে ।

এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ কাদের খানের আবেদনে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেন । এর আগে নির্যাতিতা সুজেট জর্ডন মারা যাওয়ার পর ধৃতদের বিচারের নথি সম্প্রতি নিম্ন আদালত কাদেরের মামলায় যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয় । সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন কাদের খান । এদিন নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ । সুজেটের মৃত্যুর পরেই তাঁর সাক্ষী-সহ অন্য নথি কাদেরের মামলায় যুক্ত করার আবেদন করা উচিত ছিল বলে দাবি করে পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চ ।

আরও পড়ুন : Park Street gang rape case : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

2012 সালের 5 ফেব্রুয়ারির রাতে পার্ক স্ট্রিটের এক নাইট ক্লাব থেকে ফেরার পথে গাড়িতে গণধর্ষিত হন সুজেট জর্ডন । কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে । আইপিএস দময়ন্তী সেনের তত্ত্বাবধানে তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে । কিন্তু মূল অভিযুক্ত কাদের খান ও তার সঙ্গী আজহার আলি পালিয়ে যায় । 2015 সালে নির্যাতিতা সুজেটের মৃত্যু হয় । তার বছর খানেক পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কাদের খান ও আজহার আলি ।

নিম্ন আদালতে বিচারের প্রথম পর্বে সুজেট জর্ডন যে সাক্ষ্য দিয়েছিল, সম্প্রতি সেই বয়ান কাদের খানের মামলায় পুলিশকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় নিম্ন আদালত । তারপরই নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত কাদের খান । তবে এতদিন পর নির্যাতিতার বয়ান ব্যবহারে অনুমতি না দেওয়ায় স্বভাবতই এই মামলার মূল অভিযুক্ত কাদের খানকে দোষী প্রমাণ করা পুলিশের পক্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা ।

প্রসঙ্গত, 2012 সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্কস্ট্রিটের নাইট ক্লাবের সামনে থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় । সেই ঘটনায় সুমিত বাজাজ, নাসির খান ও রোমান খান ধরা পড়লেও কাদের খান ও আজহার আলি ফেরার ছিল । 2016 সালের 29 সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদ থেকে কাদের ও আজহার আলিকে গ্রেফতার করে লালবাজার । 2018 সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয় । নির্যাতিতার মৃত্যু হলেও এখনও মামলা চলছে ৷

আরও পড়ুন : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণে অভিযুক্তের দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ হাইকোর্টের

কলকাতা, 6 মে : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণের মামলায় নতুন মোড় । 2012-এর ঘটনার এতদিন পর বিচারের কাজে নির্যাতিতার বয়ান ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court not allow the use of the Statement of Victim in the Park Street Gang Rape) ৷ শুক্রবার হাইকোর্টের দেওয়া এই নির্দেশে মূল অভিযুক্ত কাদের খান খালাস পেয়ে যাবে কি না, সেই প্রশ্নই ঘুরতে শুরু করেছে ।

এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ কাদের খানের আবেদনে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেন । এর আগে নির্যাতিতা সুজেট জর্ডন মারা যাওয়ার পর ধৃতদের বিচারের নথি সম্প্রতি নিম্ন আদালত কাদেরের মামলায় যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয় । সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন কাদের খান । এদিন নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ । সুজেটের মৃত্যুর পরেই তাঁর সাক্ষী-সহ অন্য নথি কাদেরের মামলায় যুক্ত করার আবেদন করা উচিত ছিল বলে দাবি করে পর্যবেক্ষণ ডিভিশন বেঞ্চ ।

আরও পড়ুন : Park Street gang rape case : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

2012 সালের 5 ফেব্রুয়ারির রাতে পার্ক স্ট্রিটের এক নাইট ক্লাব থেকে ফেরার পথে গাড়িতে গণধর্ষিত হন সুজেট জর্ডন । কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে । আইপিএস দময়ন্তী সেনের তত্ত্বাবধানে তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে । কিন্তু মূল অভিযুক্ত কাদের খান ও তার সঙ্গী আজহার আলি পালিয়ে যায় । 2015 সালে নির্যাতিতা সুজেটের মৃত্যু হয় । তার বছর খানেক পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কাদের খান ও আজহার আলি ।

নিম্ন আদালতে বিচারের প্রথম পর্বে সুজেট জর্ডন যে সাক্ষ্য দিয়েছিল, সম্প্রতি সেই বয়ান কাদের খানের মামলায় পুলিশকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় নিম্ন আদালত । তারপরই নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত কাদের খান । তবে এতদিন পর নির্যাতিতার বয়ান ব্যবহারে অনুমতি না দেওয়ায় স্বভাবতই এই মামলার মূল অভিযুক্ত কাদের খানকে দোষী প্রমাণ করা পুলিশের পক্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াল বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা ।

প্রসঙ্গত, 2012 সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্কস্ট্রিটের নাইট ক্লাবের সামনে থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় । সেই ঘটনায় সুমিত বাজাজ, নাসির খান ও রোমান খান ধরা পড়লেও কাদের খান ও আজহার আলি ফেরার ছিল । 2016 সালের 29 সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদ থেকে কাদের ও আজহার আলিকে গ্রেফতার করে লালবাজার । 2018 সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হয় । নির্যাতিতার মৃত্যু হলেও এখনও মামলা চলছে ৷

আরও পড়ুন : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণে অভিযুক্তের দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ হাইকোর্টের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.