কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SLST Recruitment Case) মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu)। সোমবার তিনি বলেন, "রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023) চলছে । এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে । পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন । তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার । মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত ।" এদিন মামলার শুনানিতে 2016 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, "নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় 11 হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয় । তার মধ্যে 10 শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে ।"
এদিকে নবম-দশম শ্রেণিতে বিকৃত ওএমআর শিটে চাকরি মামলার রায়দান স্থগিত রয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে । নবম-দশমে 952 জনের বিকৃত ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল সিবিআই । বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন এঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে । সেই নির্দেশের পরই স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রায় 800 জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে । চাকরিহারা প্রার্থীরা বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন । বিচারপতি তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখে ।
কয়েকদিন আগে নবম দশমের এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজ্য শিক্ষা দফতরের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছিলেন , নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের সিলেবাস অনেক পুরনো । অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিলেবাস সংস্কার করুক রাজ্য । চার বছরেরও পুরনো এই নবম-দশমের সিলেবাস । চলতি বছরে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কম বসেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় । সিলেবাসে এবার বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর । আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয়, মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা । শুধু শিক্ষক নিয়োগ হবে তাতে লাভ কী ?
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন ? অর্থের অপচয় হচ্ছে, মন্তব্য বিচারপতি বসুর