কলকাতা, 9 জানুয়ারি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতা তাপসকুমার মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ ও নীলাদ্রি ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে রেখেই ছ’মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের । মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারককে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
উল্লেখ্য, রাকেশ মণ্ডল নামে এক প্রার্থী 2014 সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন । উত্তীর্ণ প্রার্থী তিনি। 2016 সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় । কিন্তু তাতে কোনও অতিরিক্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় । এই নিয়ে গত 21 ডিসেম্বর সিবিআই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে । এ দিন মুখবন্ধ খামে জমা দেওয়া সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
এই মামলায় সিবিআইয়ের পক্ষে নিম্ন আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাঁরা হলেন - জহিরউদ্দিন শেখ, টাইগার হোসেন, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপসকুমার মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ ও কুন্তল ঘোষ। প্রত্যেকেই সিবিআই হেফাজতে আছে বলে জানিয়েছে সিবিআই । আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে 14 ডিসেম্বর । এখনও পর্যন্ত চার্জ ফ্রেম করা হয়নি নিম্ন আদালত৷ তৃণমূল নেতা তাপসকুমার মণ্ডল মেধাতালিকাকে প্রভাবিত করেছিলেন । এস বসু রায় কোম্পানি সঙ্গে নিয়েই এই দুর্নীতির অভিযোগ ।
এ দিন বিচারপতি অভিযুক্ত তাপসকুমার মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ ও কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে কবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান । সিবিআই আদালতে জানাতে পারেনি যে তাঁরা কবে নিম্ন আদালতে চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবে । তবে আজই (মঙ্গলবার) সিবিআইয়ের পক্ষে সমস্ত নথিপত্র নিম্ন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই । আগামিকাল (বুধবার) থেকে চার্জ গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানালো সিবিআই ।
অভিযুক্ত তাপসকুমার মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষ, কুন্তল ঘোষের পক্ষে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন জানানো হয়েছে । কিন্তু সেই কপি এখন পর্যন্ত আদালতে জমা পড়েনি বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আর নতুন করে এই তিনজন আবেদন জানাতে পারবে না ৷ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতকে তাঁর নির্দেশ, যে আবেদনগুলি আগে জমা দিয়েছিলেন তিন অভিযুক্ত, সেগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে । আগামী ছ’মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে চার্জ গঠন করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ।
আরও পড়ুন: