ETV Bharat / state

Cal HC on Jhalda Municipality: ঝালদায় নির্বাচিত পৌরপ্রধানকে সরানোর সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গত 16 জানুয়ারি পৌরপ্রধান নির্বাচিত হয় ঝালদায় ৷ কিন্তু পরদিন দলত্যাগ সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে ওই পৌরপ্রধানকে সরানো হয় ৷ প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল আদালত ৷ আপাতত চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ করবেন পূর্ণিমা কান্দু ৷

Calcutta High Court
Calcutta High Court
author img

By

Published : Jan 20, 2023, 5:08 PM IST

Updated : Jan 20, 2023, 5:56 PM IST

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: ঝালদা পৌরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য ৷ শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই পৌরসভায় 16 জানুয়ারি নির্বাচিত হওয়া চেয়ারপার্সনকে সরানোর সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলেন ৷ পরবর্তী নির্দেশ জারি না হাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত ঝালদায় পৌরপ্রধানের দায়িত্বে থাকবেন পূর্ণিমা কান্দু ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 10 ফেব্রুয়ারি ৷

এর আগে গত 16 জানুয়ারি সকাল 11টায় ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । নির্দেশে তিনি আরও জানান, পুরুলিয়ার (Purulia) জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারিতে নির্বাচন করতে হবে ৷ নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতেও বলা হয় । নির্বাচনের পর কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও 18 তারিখ তাঁকে সরিয়ে ঝালদার মহকুমা সুদীপ কর্মকার নামে একজন কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেন ।

ঝালদা পৌরসভায় 12 জন কাউন্সিলর ৷ এঁদের শীলা চট্টোপাধ্য়ায়কে চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ৷ তিনি নির্দল কাউন্সিলর৷ নির্দল হিসেবে জিতলেও তিনি মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ৷ মাস কয়েক আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ৷ তাই তাঁর সদস্যপদ খারিজের দাবি জমা পড়ে মহকুমাশাসকের কাছে ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শীলা চট্টোপাধ্য়ায়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয় ৷ আর সেই জায়গায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) সুদীপ কর্মকারকে ৷

সেই নিয়ে গোল বাঁধে ৷ বিষয়টি আদালতের চৌহদ্দিতেও এসে পড়ে ৷ শুক্রবার সেই নিয়েই শুনানি হয় ৷ সেই শুনানিতেই সরকারি সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল আদালত ৷ এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, "আদালতের নির্দেশে বৈঠকের মাধ্যমে 16 জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন । 18 তারিখ তাঁকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একজনকে নির্বাচিত করলেন । হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের থেকে সুদীপ কর্মকারকে নির্বাচিত করলেন । আদালতকে একটু সম্মান করুন ।’’

রাজ্যের তরফে বলা হয়, "এরা সকলেই পৌর প্রতিনিধি । পৌর আইন অনুযায়ী যেকোনও প্রতিনিধিকে ঠিক করতে পারে প্রশাসন ।" বিচারপতি বলেন, "ঠিক আছে ৷ কিন্তু যারা হেরে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে থেকে কেন ? প্রশাসনের এত তাড়া কিসের ?"

তারপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, 16 জানুয়ারির নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সরানোর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে পরবর্তী নির্দেশ জারি না হাওয়া পর্যন্ত । ততদিন কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু চেয়ারম্যানের পদ সামলাবেন বলে নির্দেশ আদালতের । 10 ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি ।

আরও পড়ুন: ঝালদা পৌরসভা কংগ্রেসেরই দখলে, চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা, 20 জানুয়ারি: ঝালদা পৌরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য ৷ শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই পৌরসভায় 16 জানুয়ারি নির্বাচিত হওয়া চেয়ারপার্সনকে সরানোর সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলেন ৷ পরবর্তী নির্দেশ জারি না হাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি । একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত ঝালদায় পৌরপ্রধানের দায়িত্বে থাকবেন পূর্ণিমা কান্দু ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি 10 ফেব্রুয়ারি ৷

এর আগে গত 16 জানুয়ারি সকাল 11টায় ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । নির্দেশে তিনি আরও জানান, পুরুলিয়ার (Purulia) জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারিতে নির্বাচন করতে হবে ৷ নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতেও বলা হয় । নির্বাচনের পর কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও 18 তারিখ তাঁকে সরিয়ে ঝালদার মহকুমা সুদীপ কর্মকার নামে একজন কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেন ।

ঝালদা পৌরসভায় 12 জন কাউন্সিলর ৷ এঁদের শীলা চট্টোপাধ্য়ায়কে চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ৷ তিনি নির্দল কাউন্সিলর৷ নির্দল হিসেবে জিতলেও তিনি মাঝে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ৷ মাস কয়েক আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ৷ তাই তাঁর সদস্যপদ খারিজের দাবি জমা পড়ে মহকুমাশাসকের কাছে ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শীলা চট্টোপাধ্য়ায়ের সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয় ৷ আর সেই জায়গায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) সুদীপ কর্মকারকে ৷

সেই নিয়ে গোল বাঁধে ৷ বিষয়টি আদালতের চৌহদ্দিতেও এসে পড়ে ৷ শুক্রবার সেই নিয়েই শুনানি হয় ৷ সেই শুনানিতেই সরকারি সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল আদালত ৷ এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, "আদালতের নির্দেশে বৈঠকের মাধ্যমে 16 জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন । 18 তারিখ তাঁকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একজনকে নির্বাচিত করলেন । হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের থেকে সুদীপ কর্মকারকে নির্বাচিত করলেন । আদালতকে একটু সম্মান করুন ।’’

রাজ্যের তরফে বলা হয়, "এরা সকলেই পৌর প্রতিনিধি । পৌর আইন অনুযায়ী যেকোনও প্রতিনিধিকে ঠিক করতে পারে প্রশাসন ।" বিচারপতি বলেন, "ঠিক আছে ৷ কিন্তু যারা হেরে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে থেকে কেন ? প্রশাসনের এত তাড়া কিসের ?"

তারপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, 16 জানুয়ারির নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে সরানোর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে পরবর্তী নির্দেশ জারি না হাওয়া পর্যন্ত । ততদিন কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু চেয়ারম্যানের পদ সামলাবেন বলে নির্দেশ আদালতের । 10 ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি ।

আরও পড়ুন: ঝালদা পৌরসভা কংগ্রেসেরই দখলে, চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়

Last Updated : Jan 20, 2023, 5:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.