কলকাতা, 13 এপ্রিল: 2014 সালের টেট-এ যাঁরা বসেছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দিতে হবে । প্রশ্ন ভুল মামলায় বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ ।
2014 সালের টেট-এর 6টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে - এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । সেই ঘটনার তদন্তে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কমিটি গঠন করে আদালত । বিশ্বভারতী জানায় যে অভিযোগের যৌক্তিকতা রয়েছে, অর্থাৎ প্রশ্নগুলি ভুল ছিল । এরই প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র মামলাকারীদের ওই ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় । এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী । তাঁদের বক্তব্য ছিল, শুধু মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পাবেন ? বাড়তি নম্বর সবাইকে দিতে হবে ।
সেই আবেদনে বিচারপতি হরীশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে পরাজিত হন মামলাকারীরা । মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত । 2019 সালের 1 এপ্রিল সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট । সেই মামলা এতদিন বিচারাধীন ছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে । আজ তারই রায়দান করলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ।
উল্লেখ্য, 2014 সালে টেট-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় 25 লক্ষ পরীক্ষার্থী । তার মধ্যে 1 লক্ষ 25 হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন । সেখান থেকে 42 হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । তারপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক পরীক্ষার্থী । তাঁদের দাবি ছিল, অনেকেই দু-চার নম্বরের জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেননি । নম্বর পেলে তাঁরাও উত্তীর্ণ হতে পারেননি ।
2018 সালে হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র মামলাকারীদেরই নম্বর বাড়ানোর যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা একতরফা বলে দাবি করেন মামলাকারীরা । সেই বিষয়েই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রীত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলে এই মামলার । তারপর রায়দান স্থগিত রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ । সেই মামলাতেই আজ ভুল প্রশ্নের জন্য সব প্রার্থীকে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন: 2014 সালের টেটে প্রশ্ন ভুলের কথা ফের স্বীকার করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ