ETV Bharat / state

HC on Transfer Application: 14 বার বদলির আবেদন খারিজ ! এসএসসিকে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের

author img

By

Published : Mar 6, 2023, 5:42 PM IST

14 বার বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন দুই স্কুল শিক্ষক (Transfer Application by two School Teachers) ! কিন্তু, তাঁদের আবেদন মঞ্জুর হয়নি ৷ সেই মামলায় কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ?

Calcutta High Court directs SSC to take action on Transfer Application by two School Teachers
ফাইল ছবি

কলকাতা, 6 মার্চ: বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়ার করতে রোজ পাড়ি দিতে হয় 120 কিলোমিটার (যাওয়া-আসা মিলিয়ে) ! সেই ঝঞ্ঝাটের হাত থেকে রেহাই পেতে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন মালদার একটি সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষক ৷ একবার কিংবা দু'বার নয়, পরপর 14 বার এই আবেদন করেছিলেন তাঁরা ৷ তারপরও সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ বাধ্য হয়েই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই দুই শিক্ষক ৷ সোমবার দুই শিক্ষকেরই আবেদন (Transfer Application by two School Teachers) খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় ৷ সোমবার স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই নির্দেশ দেন তিনি ৷

নিয়ম অনুসারে, যে কোনও স্কুলে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা 5 বছর চাকরি করার পর তিনি অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন করতে পারেন ৷ সেই আবেদন তখনই মঞ্জুর হবে, যখন আবেদনকারীর বর্তমান স্কুল এই বিষয়ে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' বা এনওসি দেবে ৷ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন মালদা জেলার ভাদো বিএস হাইস্কুলের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা এবং বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক যথাক্রমে শরিফুল ইসলাম ও গৌতম প্রামাণিক ৷ তাঁরা এই স্কুলে নিযুক্ত হয়েছিলেন 2013 সালে ৷

দুই শিক্ষকেরই অভিযোগ, বদলির জন্য এখনও পর্যন্ত 14 বার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ৷ কিন্তু, প্রত্যেকবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ, একই সময়সীমার মধ্য়ে এই দুই শিক্ষকের তুলনায় 'জুনিয়র' তিনজন সহকারী শিক্ষক একবার করে আবেদন জানাতেই তাঁদের বদলির আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায় ৷ অভিযোগ, এই বিষয় মালদা জেলার স্কুল পরিদর্শক, স্কুল শিক্ষা দফতর, এসএসসি, এমনকী স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ সেই কারণেই শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই শিক্ষক ৷

মামলাকারীদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী এই প্রসঙ্গে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে তিনজন 'জুনিয়র' সহশিক্ষকের বদলির আবেদনে 'এনওসি' দিয়েছেন ৷ অথচ, 'সিনিয়র' দুই শিক্ষকের আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি ৷ এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের যুক্তি ছিল, স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে ৷ তাই ওই দুই 'সিনিয়র' শিক্ষকের অন্যত্র বদলির আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয় ৷ প্রধান শিক্ষকের এই আচরণ 'ট্রান্সফার রুল' বা বদলি নীতির পরিপন্থী বলেও জানিয়েছেন আশিস ৷ তিনি আরও জানান, দুই মামলাকারীর মধ্যে শরিফুল হরিশ্চন্দ্রপুর এবং গৌতম গাজোলের বাসিন্দা ৷ তাঁদের দাবি ছিল, জেলারই অন্য কোনও স্কুলে তাঁদের বদলি করে দেওয়া হোক ৷ যেখানে থেকে তাঁদের বাড়ির দূরত্ব কম হবে ৷ কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণাপাত করেনি বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: শিক্ষক বদলিতে নতুন নির্দেশিকা আজ ! নীতি বাস্তবায়নে তৈরি থাকার নির্দেশ আদালতের

মামলাকারীদের বক্তব্য এবং যুক্তি শোনার পর বিচারপতি রায় অবিলম্বে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন ৷ কেন শুধুমাত্র এই দুই শিক্ষকের বদলি নিয়েই এমন জটিলতা তৈরি হল, তাও তাঁকে দেখতে বলা হয় ৷ পাশাপাশি, দুই শিক্ষকের আবেদন খতিয়ে দেখে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তা জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷

কলকাতা, 6 মার্চ: বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়ার করতে রোজ পাড়ি দিতে হয় 120 কিলোমিটার (যাওয়া-আসা মিলিয়ে) ! সেই ঝঞ্ঝাটের হাত থেকে রেহাই পেতে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন মালদার একটি সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষক ৷ একবার কিংবা দু'বার নয়, পরপর 14 বার এই আবেদন করেছিলেন তাঁরা ৷ তারপরও সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ বাধ্য হয়েই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই দুই শিক্ষক ৷ সোমবার দুই শিক্ষকেরই আবেদন (Transfer Application by two School Teachers) খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় ৷ সোমবার স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই নির্দেশ দেন তিনি ৷

নিয়ম অনুসারে, যে কোনও স্কুলে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা 5 বছর চাকরি করার পর তিনি অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন করতে পারেন ৷ সেই আবেদন তখনই মঞ্জুর হবে, যখন আবেদনকারীর বর্তমান স্কুল এই বিষয়ে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' বা এনওসি দেবে ৷ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন মালদা জেলার ভাদো বিএস হাইস্কুলের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা এবং বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক যথাক্রমে শরিফুল ইসলাম ও গৌতম প্রামাণিক ৷ তাঁরা এই স্কুলে নিযুক্ত হয়েছিলেন 2013 সালে ৷

দুই শিক্ষকেরই অভিযোগ, বদলির জন্য এখনও পর্যন্ত 14 বার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ৷ কিন্তু, প্রত্যেকবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ, একই সময়সীমার মধ্য়ে এই দুই শিক্ষকের তুলনায় 'জুনিয়র' তিনজন সহকারী শিক্ষক একবার করে আবেদন জানাতেই তাঁদের বদলির আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায় ৷ অভিযোগ, এই বিষয় মালদা জেলার স্কুল পরিদর্শক, স্কুল শিক্ষা দফতর, এসএসসি, এমনকী স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ সেই কারণেই শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই শিক্ষক ৷

মামলাকারীদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী এই প্রসঙ্গে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে তিনজন 'জুনিয়র' সহশিক্ষকের বদলির আবেদনে 'এনওসি' দিয়েছেন ৷ অথচ, 'সিনিয়র' দুই শিক্ষকের আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি ৷ এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের যুক্তি ছিল, স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে ৷ তাই ওই দুই 'সিনিয়র' শিক্ষকের অন্যত্র বদলির আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয় ৷ প্রধান শিক্ষকের এই আচরণ 'ট্রান্সফার রুল' বা বদলি নীতির পরিপন্থী বলেও জানিয়েছেন আশিস ৷ তিনি আরও জানান, দুই মামলাকারীর মধ্যে শরিফুল হরিশ্চন্দ্রপুর এবং গৌতম গাজোলের বাসিন্দা ৷ তাঁদের দাবি ছিল, জেলারই অন্য কোনও স্কুলে তাঁদের বদলি করে দেওয়া হোক ৷ যেখানে থেকে তাঁদের বাড়ির দূরত্ব কম হবে ৷ কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণাপাত করেনি বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: শিক্ষক বদলিতে নতুন নির্দেশিকা আজ ! নীতি বাস্তবায়নে তৈরি থাকার নির্দেশ আদালতের

মামলাকারীদের বক্তব্য এবং যুক্তি শোনার পর বিচারপতি রায় অবিলম্বে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন ৷ কেন শুধুমাত্র এই দুই শিক্ষকের বদলি নিয়েই এমন জটিলতা তৈরি হল, তাও তাঁকে দেখতে বলা হয় ৷ পাশাপাশি, দুই শিক্ষকের আবেদন খতিয়ে দেখে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তা জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.