কলকাতা, 16 মে: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কী কারণে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হল, রাজ্যপালের আইনজীবীর থেকে সেই বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । আগামিকাল বুধবার ওই তথ্য পাওয়ার পর পরবর্তী শুনানি করবে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ । গতকাল সোমবার রাজভবনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উপাচার্য মামলা করেন । তাঁর বক্তব্য, তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত অনৈতিক ।
রাজভবনের নির্দেশে বলা হয়েছিল, ওই উপাচার্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না । তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল । এমন শব্দবন্ধ একজন ব্যক্তির সম্মানে কলঙ্ক লেপে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন উপাচার্যের আইনজীবী । রাজ্যপালের আইনজীবী ওই মন্তব্য মুছে দেওয়ার আশ্বাস দেন । কিন্তু আদালত রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছে ওই উপাচার্যকে সরানোর কারণ জানতে চেয়েছে । আগামিকাল ফের শুনানি ।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপালে মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে বিল আগেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হয়ে রয়েছে ৷ কিন্তু সেই বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল । সংবিধানের 200 ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল ওই বিলে অনুমোদন করতে পারেন, সই না করে ফেরত পাঠাতে পারেন বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন ।
খুব দ্রুত সেটা করার কথা সংবিধান অনুযায়ী ৷ কিন্তু গত প্রায় এক বছর ধরে সেই বিল পড়ে রয়েছে রাজভবনে । এদিকে আগামী 31 মে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে । এই অবস্থায় ওই বিল নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই রাজভবনের । তাই দ্রুত আচলাবস্থা কাটাতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । এ দিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ না বসায় জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে । ওই মামলায় রাজ্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ এই জনস্বার্থ মামলার আবেদনপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন মুখ্য সচিব । যদিও এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলেই শুনানি চলাকালীন জানান কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য । এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 12 জুন ৷
আরও পড়ুন: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বরখাস্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের