ETV Bharat / state

HC on Adani Group Power Project: আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পেয়েছেন ? জানতে চাইল হাইকোর্ট - Calcutta HC seeks report

মুর্শিদাবাদে আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ইতিমধ্যেই মেটানো হয়েছে কি না জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ আদানিদের সে বিষয়ে রিপোর্ট 17 এপ্রিলের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে ৷

Adani Group Power Project
আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্প
author img

By

Published : Feb 21, 2023, 4:19 PM IST

কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় আদানিদের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পে (Adani Group Power Project) ক্ষতিগ্রস্ত আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে কাদের কাদের টাকা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ (Chief Justice Prakash Srivastava)। আদালতে আদানিদের আগামী 17 এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে এই ব্যাপারে ।

এদিন মামলাকারী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তরফে আইনজীবী ঝুমা সেন জানান, "এই প্রকল্পের ফলে প্রচুর আম লিচু গাছ কাটা পড়েছে । তাতে প্রত্যেক বছর যে ফল হয় তার উপর জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ওখানকার এলাকাবাসীকে। সেখানে গাছ কেটে গাছের উপর দিয়ে হাই টেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে । প্রতিবেশী দেশের সরকার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে । ভারতের নাগরিকরা এর সুবিধা পাবে না ।

তিনি বলেন, "এই জায়গা বনদফতরের নয়, যে বন সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়বে । ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে । বিদ্যুৎ দফতরের নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। এর আগে যশোর রোড সম্প্রসারণের সময় এই রকম গাছ কাটতে হয় ৷ তাতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল,বনাঞ্চলের বাইরে এই ধরনের গাছের আলাদা মুল্য রয়েছে। পরিবেশ রক্ষা করে গাছ। একইসঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত।"

প্রধান বিচারপতি জানতে চান কত পরিমাণ গাছ আনুমানিক কাটা হয়েছে ৷ সে ব্যাপারে কোনও পরিসংখ্যান আছে কি না । মামলাকারীরা অবশ্য তা জানাতে পারেননি । আদানিদের তরফে আইনজীবী আদিত্য পাণ্ডে বলেন, "2003 সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাম এক্টের 164 ধারা অনুয়ায়ীই কাজ হচ্ছে । 2010 সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে । বেশিরভাগ মামলাকারী আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নিয়েছে ডিমাণ্ড ড্রাফটের মাধ্যমে। তারা প্রশাসনকে আগে জানিয়েছে তারা কোনওরকম প্রতিরোধ করবে না । তবে এখন আন্দোলনে সামিল হয়েছে ।"

কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী আশোক ভট্টাচার্য জানান, যারা আপত্তি করছে তাদের নাম, জমির প্লট নম্বর এগুলি মামলায় যুক্ত করা হয়নি । ফলে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । তারপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, টাকা কাদের দেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত হলফনামা জমা দিতে । 17 এপ্রিল ফের শুনানি হবে ।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে । মুর্শিদাবাদের যে অঞ্চলের উপর দিয়ে যাচ্ছে এই হাইটেনশন তার সেখানে রয়েছে আম ও লিচু বাগান । তার জন্য প্রবল আপত্তি তুলেছেন কৃষকরা । এই নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের একাধিক বার খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে । কৃষকদের বক্তব্য মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বেনিয়া গ্রামের বেশিরভাগ লোক আম লিচুর চাষের উপর নির্ভরশীল । এলাকায় যেদিকে খালি জমি রয়েছে সেদিক দিয়ে হাইটেনশন তার গেলে কারও আপত্তি ছিল না । প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কৃষকরা ।

আরও পড়ুন: ফরাক্কায় আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় আদানিদের বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পে (Adani Group Power Project) ক্ষতিগ্রস্ত আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে কাদের কাদের টাকা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ (Chief Justice Prakash Srivastava)। আদালতে আদানিদের আগামী 17 এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে এই ব্যাপারে ।

এদিন মামলাকারী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তরফে আইনজীবী ঝুমা সেন জানান, "এই প্রকল্পের ফলে প্রচুর আম লিচু গাছ কাটা পড়েছে । তাতে প্রত্যেক বছর যে ফল হয় তার উপর জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয় ওখানকার এলাকাবাসীকে। সেখানে গাছ কেটে গাছের উপর দিয়ে হাই টেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে । প্রতিবেশী দেশের সরকার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে । ভারতের নাগরিকরা এর সুবিধা পাবে না ।

তিনি বলেন, "এই জায়গা বনদফতরের নয়, যে বন সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়বে । ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে । বিদ্যুৎ দফতরের নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। এর আগে যশোর রোড সম্প্রসারণের সময় এই রকম গাছ কাটতে হয় ৷ তাতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল,বনাঞ্চলের বাইরে এই ধরনের গাছের আলাদা মুল্য রয়েছে। পরিবেশ রক্ষা করে গাছ। একইসঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত।"

প্রধান বিচারপতি জানতে চান কত পরিমাণ গাছ আনুমানিক কাটা হয়েছে ৷ সে ব্যাপারে কোনও পরিসংখ্যান আছে কি না । মামলাকারীরা অবশ্য তা জানাতে পারেননি । আদানিদের তরফে আইনজীবী আদিত্য পাণ্ডে বলেন, "2003 সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাম এক্টের 164 ধারা অনুয়ায়ীই কাজ হচ্ছে । 2010 সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে । বেশিরভাগ মামলাকারী আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নিয়েছে ডিমাণ্ড ড্রাফটের মাধ্যমে। তারা প্রশাসনকে আগে জানিয়েছে তারা কোনওরকম প্রতিরোধ করবে না । তবে এখন আন্দোলনে সামিল হয়েছে ।"

কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী আশোক ভট্টাচার্য জানান, যারা আপত্তি করছে তাদের নাম, জমির প্লট নম্বর এগুলি মামলায় যুক্ত করা হয়নি । ফলে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । তারপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, টাকা কাদের দেওয়া হয়েছে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত হলফনামা জমা দিতে । 17 এপ্রিল ফের শুনানি হবে ।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে হাইটেনশন তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে । মুর্শিদাবাদের যে অঞ্চলের উপর দিয়ে যাচ্ছে এই হাইটেনশন তার সেখানে রয়েছে আম ও লিচু বাগান । তার জন্য প্রবল আপত্তি তুলেছেন কৃষকরা । এই নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের একাধিক বার খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে । কৃষকদের বক্তব্য মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বেনিয়া গ্রামের বেশিরভাগ লোক আম লিচুর চাষের উপর নির্ভরশীল । এলাকায় যেদিকে খালি জমি রয়েছে সেদিক দিয়ে হাইটেনশন তার গেলে কারও আপত্তি ছিল না । প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কৃষকরা ।

আরও পড়ুন: ফরাক্কায় আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.