কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে ভাঙরে মিছিল করতে চেয়েছিল বামেরা ৷ কিন্তু 19 ফেব্রুয়ারি বামাদের ওই মিছিলে অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ ওই এলাকায় 144 ধারা জারি থাকায় মিছিল করা যাবে না বলে শুক্রবার হাইকোর্টে জানায় রাজ্য ৷ তবে এদিন রাজ্য পুলিশের কাছ থেকেও কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷
নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারির পর ভাঙড় ও কাশিপুর থানা এলাকায় জারি হয়েছে 144 ধারা । কিন্তু থানার আইসি 144 ধারা জারি করতে পারেন কি? এই জবাব চেয়েছে হাই কোর্ট ৷ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ভাঙরে সিপিএম-এর মিছিলের অনুমতি চেয়ে দায়ের করা মামলায় নির্দেশ দিয়েছেন, কেন 144 ধারা জারি আছে, কতদিন থাকবে, এখন পরিস্থিতি কেমন এই সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশকে উত্তর দিতে হবে ৷ একইসঙ্গে, থানার আইসি 144 ধারা জারি করতে পারেন কি না, সেই প্রশ্নেরও জবাব দিতে হবে (left rally at Bhangar)।
এদিনের শুনানিতে সিপিএম-এর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "জেলাশাসক, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার মনোনীত পদাধিকারী ছাড়া 144 ধারা প্রয়োগ করার ক্ষমতা নেই । কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে থানার ওসি ওই নির্দেশ দিচ্ছেন ।" উল্লেখ্য, আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে গোলমালে গত কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত ভাঙর, কাশিপুর থানা এলাকা । অভিযোগ, সেখানে বিরোধীদের শায়েস্তা করতে 144 ধারা প্রয়োগ করে রাখা হয়েছে।
অথচ তার মাঝে 8 ও 14 ফেব্রুয়ারি তৃণমূল ওই এলাকায় মিছিল করেছে । কিন্তু সিপিএম আবেদন করলেও পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার কথা বলে অনুমতি দিচ্ছে না (left front demand release of Nawshad Siddiqui)। এরপরেই আদালত পুলিশকে প্রশ্নমালাগুলির উত্তর তৈরি করে নতুন রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় । একইসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সোমবার ফের শুনানি এই মামলার ।
আরও পড়ুন: পার্থদা হলে এটা করতেন ? পুলিশকে প্রশ্ন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদের
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, "আমরা এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আবেদন জানিয়ে মিছিল করতে চাই । পুলিশ জানায় ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য 144 ধারা জারি করা হয়েছে ।" পুলিশের দাবি অনির্দিষ্ট কালের জন্য সেখানে 144 ধারা জারির পর কোনও রাজনৈতিক মিছিল হয়নি । শান্তি বজায় রাখতে মাইকিং করা হচ্ছে । উল্লেখ্য, এর আগে নওশাদের মুক্তির দাবিতে 15 ফেব্রুয়ারি মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিল বাম ও আইএসএফ যৌথভাবে । কিন্তু তাতে সন্মতি দেয়নি পুলিশ । উলটে 15 তারিখ সকাল থেকেই এলাকায় 144 ধারা জারি করে দেয় পুলিশ । পরে 19 ফেব্রুয়ারি মিছিল করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বাম নেতৃত্ব । কিন্তু 19 এর মিছিলেও অনুমতি মিলল না ৷