কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: মহার্ঘভাতা মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট(Cal HC Rejects WB Govt Plea on DA)। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় হারেই মহার্ঘভাতা দিতে হবে রাজ্যের কর্মচারীদের ৷ এই বিষয়ে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, যেহেতু আগের নির্দেশ কোনও ভুল নেই ৷ সেই কারণে পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট ৷
তবে এই নির্দেশের পর রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় । পাশাপাশি হাইকোর্ট তিনমাসের যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সেই সময় ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার জন্য কর্মচারীরা আদালত আবমাননার মামলা করে । সেই মামলায় রাজ্যকে 4 নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । 9 নভেম্বর সেই বিষয়ে ফের শুনানি রয়েছে ৷
আরও পড়ুন : 14 লক্ষ সরকারি কর্মচারীর বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্যকে
উল্লেখ্য,গত 20 মে বিচারপতি হরিশ ট্যাণ্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে 'অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স' নিরিখে মহার্ঘভাতা দিতে হবে । পঞ্চম বেতন কমিশনের নির্দেশিত কেন্দ্রীয় মূল্য সূচকের হারেই মহার্ঘভাতা দিতে হবে কর্মীদের । অর্থাৎ, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে যে মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সেটাই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্ট । তিনমাসের মধ্যে রাজ্যকে সমস্ত বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । এর আগে 2018 সালের 31 অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ মহার্ঘভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইন সঙ্গত অধিকার বলে রায় দিয়েছিল ।2010 সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বছরে দু'বার মহার্ঘভাতা দেওয়া হত । কিন্তু তারপর থেকে রাজ্য সরকার মহার্ঘভাতা দেওয়া বন্ধ করে দেয় । এখনও পর্যন্ত পঞ্চম পে কমিশনের 34 শতাংশ এবং ষষ্ঠ পে কমিশনের 34 শতাংশ মিলিয়ে মোট 68 শতাংশ মহার্ঘভাতা বকেয়া রয়েছে । এই বিষয়ে রাজ্যের যুক্তি ছিল রাজকোষে ঘাটতি থাকায় কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । রাজ্য সামর্থ্য মত মহার্ঘভাতা দিয়ে দিয়েছে ।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় রাজ্যের, হাইকোর্টে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল