কলকাতা, 30 জানুয়ারি: আজ অর্থাৎ সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নবান্নের বদলে উন্নয়ন ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক (Cabinet Meeting at Unnayan Bhavan) করবেন । অতীতে পাহাড়ে ক্যাবিনেট বৈঠক হতে দেখেছে বাংলার মানুষ । কিন্তু খোদ কলকাতা কিমবা শহরতলিতে রাইটার্স বিল্ডিং বা নবান্নের বাইরে সেভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠক হতে দেখা যায়নি । যদিও কখনও কখনও বিধানসভা চলাকালীন রাজ্য বিধানসভাতেও ক্যাবিনেট মিটিং হয়েছে । কিন্তু এ বার বিধান নগরে, যা জেলা ধরলে উত্তর 24 পরগনার মধ্যে পড়ে, সেখানেই হতে চলেছে মন্ত্রিসভার বৈঠক । এই ঘটনা বিধাননগরের বুকে এই প্রথম ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায় গিয়ে ক্যাবিনেট বৈঠক সম্পন্ন করার । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের কাজকে জেলা স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে নিজে বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন । প্রশ্ন উঠছে তাহলে এ বার কি ক্যাবিনেট মিটিংও বিভিন্ন জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হবে ?
আরও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল 11 সদস্যের মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় দল যখন বিকাশ ভবনে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, তার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর গোটা মন্ত্রী পরিষদ ।এ দিকে, এ দিনই জেলা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর । তাই প্রথমে মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং পরবর্তীতে বইমেলার উদ্বোধন করে তিনি জেলা সফরের উদ্দেশে রওনা দেবেন । সফরের সুবিধার জন্যই তিনি এ বার উন্নয়ন ভবনকে ক্যাবিনেট মিটিংয়ের জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় আচমকা নিজের কলেজে মমতা, গাইলেন 'আকাশ ভরা সূর্য তারা'
এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর সফরের যে সূচি পাওয়া গিয়েছে, তাতে আগামিকাল অর্থাৎ 31 জানুয়ারি মালদহ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর 1 তারিখ বীরভূমে যাবেন তিনি । ওইদিন বোলপুরে তাঁর সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা । মালদহেও তাঁর সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ।
এ দিকে, এ দিনের ক্যাবিনেট বৈঠকের দিকে গোটা রাজ্যের মানুষের চোখ রয়েছে । আজ এই মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকেই প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে । এ দিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিধি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হতে পারে । যদি কোনও ভাবে আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি পেশ না করা হয়, তাহলে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবশ্যই এই বিষয়টিকে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে ।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রধান শিক্ষকদের শূন্য পদের যে সংখ্যা আদালতকে জানানো হয়েছিল তা হল 2325 টি । আর এই 2325টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েই অগ্রাধিকার দিতে চাইছে রাজ্য সরকার ।