কলকাতা, 23 ডিসেম্বর: অপহরণের পর কলকাতা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ব্যবসায়ী । তাঁর গাড়ি থেকে মিলেছে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি চিঠি । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণবন্দর থানা এলাকার জাজেস ঘাটের কাছে । যদিও এই বিষয়ে সরাসরি কলকাতা পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক মুখ খুলতে চাননি। তবে নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "গাড়ি থেকে উদ্ধার ওই ইঙ্গিতপূর্ণ চিঠির সম্পর্কে আমি কোন তথ্য প্রকাশ করতে চাই না । চিঠির উপর ভিত্তি করেই ব্যবসায়ীর খোঁজ চালানো হচ্ছে ।"
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপন প্রামাণিক ৷ তাঁর নিউটাউন থানার আওতাধীন এলাকায় একটি ব্যবসা রয়েছে। সন্দীপনের ছেলে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবন্দর থানায় একটি নিখোঁজের মামলা করেছেন। পুলিশ এখনও ব্যবসায়ীকে খুঁজে পায়নি । তবে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সন্দীপন প্রামাণিকের মোবাইল ফোন ট্রেস করেছে পুলিশ ৷ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, গোয়ালিয়ার ঘাটের কাছে একবার তাঁর গাড়ি দেখা গিয়েছে ৷ পরে তাঁর গাড়ির শেষ লোকেশন ছিল জাজেস ঘাটের কাছে। সেখান থেকেই সন্দীপনের বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই গাড়িতেই উদ্ধার হয়েছে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ চিঠি। তাতে লেখা রয়েছে, সংশ্লিষ্ট গাড়িটি কেনার পর মাসিক কিস্তি মেটাতে একাধিক অসুবিধা হচ্ছিল ওই ব্যবসায়ীর। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাঁর কাছে ফোন আসছিল বলে পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের অনুমান, গাড়িতে মোবাইল ফোন এবং ওই চিঠিটি রেখে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে হয়তো তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এছাড়াও তিনি নিজে থেকেই কোথাও নিরুদ্দেশও হয়ে গিয়ে থাকতে পারেন । কিংবা তাঁকে কেউ অপহরণ করেছে । তদন্ত নেমে পুলিশ কোন সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছে না । ইতিমধ্যেই জাজেস ঘাটের কাছের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে লালবাজার ।
জানা গিয়েছে, এমনকী তদন্তকারীরা ওই নিখোঁজ ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন ৷ তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন,মাসিক কিস্তিতে গাড়ি কেনা ব্যাংকের তরফ থেকে টাকা আদায়ের জন্য তাঁকে কোনও ফোন করা হয়েছিল কি না ৷ টাকার জন্য চাপইবা দেওয়া হচ্ছিল কি না। পুলিশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে সূত্রের খবর ।
আরও পড়ুন: