কলকাতা, 20 জুলাই: আগামিকাল শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান । সেই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা ৷ তাই জেলা থেকে শহর, সব জায়গাতেই অপ্রতুল হয়ে পড়েছে বেসরকারি বাস ৷ অভিযোগ, 17 জুলাই থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ 21 জুলাই যত এগিয়ে আসছে, ততই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে ৷ এর ফলে নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের । জোর করেই অধিকাংশ বেসরকারি বাস তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের কলকাতায় আনার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷
হুগলি জেলার এক বেসরকারি বাস মালিক তথা হুগলি ইন্টার রিজিয়ন এক্সপ্রেস বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম ঢোলে বলেন, ‘‘গত 17 জুলাই হুগলি জেলার বিভিন্ন রাস্তায় এমন হয়েছে যে মাঝপথে যাত্রী-সহ বাস থামিয়ে, সেই বাস তুলে নেওয়া হচ্ছিল । বলা হচ্ছিল যে বাস এখন তাঁদের দখলে থাকবে ৷ কারণ, এই বাসেই 21 জুলাই কলকাতায় সভায় যাওয়া হবে । কোথাও কোথাও আবার কোথাও বাস চালককে যাত্রী নামিয়ে ফেরত আসতে বলা হয় ।’’
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা থেকে এই ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে । এই বিষয়টি পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে জানানো হয় ৷ তিনি পদক্ষেপ করেন ৷ তার পর সেই বাসগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয় । তবে পরের দিন 18 জুলাই থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও কয়েকটি জেলায় একই চিত্র দেখা দেয় ।
বাস মালিকরা আরও অভিযোগ করেন যে এখনও বহু জায়গায় কাটা রুটে বা ছোট ছোট রুটে বাস চালাতে বাধ্য করছেন স্থানীয় তৃণমূলের সমর্থকরা ৷ যাতে তাঁদের এলাকা থেকে বেরিয়ে অন্য এলাকায় সেই বাস প্রবেশ করলে সেখানকার মানুষ কলকাতা আসবেন বলে বাস আটকে না দেন । এর ফলে যাত্রীদের নাকাল হতে হচ্ছে । একে তাঁদের মাঝপথে নামতে হচ্ছে, তার উপর গন্তব্যে পৌঁছাতে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ে মহানগরের ট্রাফিক সামলানোই কড়া চ্যালেঞ্জ, বিশেষ পদক্ষেপ লালবাজারের
আগামিকাল, শুক্রবারও একই পরিস্থিতি থাকবে বলে আগাম জানিয়ে রেখেছেন বাস মালিকরা ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, একাধিক রুটে বাসের অভাব থাকবে । তবে এই জোর করে বাস তুলে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে ৷