ETV Bharat / state

আর্থিক সংকট, পেশা পালটে সবজি বিক্রি বাসকর্মীদের - বাসকর্মী

লকডাউনের জেরে বাস বন্ধ । আর্থিক সংকটে বাসকর্মীরা । বিকল্প আয় হিসেবে সবজি বিক্রি করছেন ।

bus workers
বাসকর্মী
author img

By

Published : Apr 23, 2020, 9:32 AM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল: সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বহু মানুষ চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন । দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন । তাই সংসার চালাতে গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ রাস্তায় বসে ফলমূল বিক্রি করছেন । সবজি বিক্রি করছেন কেউ কেউ ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নেরগোপার বাসিন্দা আবু মুসা খান ছিলেন বাসের কন্ডাক্টর । লকডাউনের জেরে এখন সবজি বিক্রেতা । কলকাতা স্টেশন থেকে গড়বেতাগামী বাসের খালাসি তিনি । বলেন, "সংসার তো চালাতে হবে । তাই বাধ্য হয়ে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে । গ্রামের কৃষকদের থেকে কম দামে সবজি কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি ।" সাতজন সদস্য নিয়ে মুসা খানের সংসার । একমাসের বেশি সময় ধরে বাস বন্ধ । বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোটোছোটো ছেলে-মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিতে তিনি এখন রাস্তায় সবজি নিয়ে বসছেন বলে জানালেন ।

বাস মালিক সহদেব বাগ নিজের সংসার চালাতে ও বাস কেনার টাকা মেটানোর তাগিদে শাক-সবজি বিক্রি করছেন । অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে একটা মিনিবাস কিনেছিলেন কাকদ্বীপের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা সহদেববাবু । কাকদ্বীপের লট 8 থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চলত তাঁর বাস । লকডাউনের জেরে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে । তাই তিনি বিকল্প জীবিকা হিসেবে সবজি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন ।

সহদেববাবু বলেন, "হোলির আগে আমার বাসের একটা দুর্ঘটনা হয় । পুলিশ বাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । টাকার অভাবে বাসটি ছাড়াতে পারিনি । অন্যদিকে যেই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাসটি কিনি সেখান থেকে বারবার ফোন আসছে । আমার সংসারে চার সদস্য । তাই তাঁদের খাবার জোটাব না ঋণ শোধ করব? একটি রেশন কার্ড বানানোর বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও তা হয়নি । তাই 2 টাকা কিলো চালও পাই না । লকডাউনের আগে থেকেই মন্দা যাচ্ছিল ব্যবসায় । মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই এই মন্দা শুরু হয় । কাকদ্বীপ থেকে ধর্মতলা পৌঁছাতে আগে সময় লাগত তিন ঘণ্টা । ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকে সময় লাগত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা । এর ফলে যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছিল । জ্বালানি খরচও বেড়ে গেছিল অনেকটাই ।"

অপরদিকে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, " যাঁরা দিন আনা দিন খাওয়া বাস শ্রমিক, তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছেন । আমি যথা সম্ভব তাঁদের টাকা ও খাবার দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করছি । এভাবে কতদিন টানতে পারব জানি না ।"

কলকাতা, 23 এপ্রিল: সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বহু মানুষ চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন । দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন । তাই সংসার চালাতে গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ রাস্তায় বসে ফলমূল বিক্রি করছেন । সবজি বিক্রি করছেন কেউ কেউ ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নেরগোপার বাসিন্দা আবু মুসা খান ছিলেন বাসের কন্ডাক্টর । লকডাউনের জেরে এখন সবজি বিক্রেতা । কলকাতা স্টেশন থেকে গড়বেতাগামী বাসের খালাসি তিনি । বলেন, "সংসার তো চালাতে হবে । তাই বাধ্য হয়ে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে । গ্রামের কৃষকদের থেকে কম দামে সবজি কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি ।" সাতজন সদস্য নিয়ে মুসা খানের সংসার । একমাসের বেশি সময় ধরে বাস বন্ধ । বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোটোছোটো ছেলে-মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিতে তিনি এখন রাস্তায় সবজি নিয়ে বসছেন বলে জানালেন ।

বাস মালিক সহদেব বাগ নিজের সংসার চালাতে ও বাস কেনার টাকা মেটানোর তাগিদে শাক-সবজি বিক্রি করছেন । অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে একটা মিনিবাস কিনেছিলেন কাকদ্বীপের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা সহদেববাবু । কাকদ্বীপের লট 8 থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চলত তাঁর বাস । লকডাউনের জেরে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তাঁকে । তাই তিনি বিকল্প জীবিকা হিসেবে সবজি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন ।

সহদেববাবু বলেন, "হোলির আগে আমার বাসের একটা দুর্ঘটনা হয় । পুলিশ বাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । টাকার অভাবে বাসটি ছাড়াতে পারিনি । অন্যদিকে যেই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে বাসটি কিনি সেখান থেকে বারবার ফোন আসছে । আমার সংসারে চার সদস্য । তাই তাঁদের খাবার জোটাব না ঋণ শোধ করব? একটি রেশন কার্ড বানানোর বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও তা হয়নি । তাই 2 টাকা কিলো চালও পাই না । লকডাউনের আগে থেকেই মন্দা যাচ্ছিল ব্যবসায় । মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই এই মন্দা শুরু হয় । কাকদ্বীপ থেকে ধর্মতলা পৌঁছাতে আগে সময় লাগত তিন ঘণ্টা । ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকে সময় লাগত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা । এর ফলে যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছিল । জ্বালানি খরচও বেড়ে গেছিল অনেকটাই ।"

অপরদিকে অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, " যাঁরা দিন আনা দিন খাওয়া বাস শ্রমিক, তাঁদের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছেন । আমি যথা সম্ভব তাঁদের টাকা ও খাবার দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করছি । এভাবে কতদিন টানতে পারব জানি না ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.