ETV Bharat / state

Cattle Smuggling Case: বিএসএফ কর্তাদের মদতেই হত গরুপাচার, চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর দাবি ইডি'র - অনুব্রত মণ্ডল

গরুপাচার-কাণ্ডে চার্জশিটে বিএসএফের নাম উল্লেখ করেছে ইডি ৷ সেখানে বলা হয়েছে, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু আধিকারিকের মদতেই হত গরুপাচার ৷ এমনকী পাচারকারীদের জন্য সেফ প্যাসেজও তৈরি করে দেওয়া হত ৷

Cattle Smuggling Case ETV BHARAT
Cattle Smuggling Case
author img

By

Published : May 5, 2023, 10:25 AM IST

Updated : May 5, 2023, 10:53 AM IST

কলকাতা, 5 মে: গরুপাচার কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের পেশ করা চার্জশিটে বিএসএফের নাম উঠে এল ৷ সরাসরি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে গরুপাচারে মদতের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডির পেশ করা চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, গরুপাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি যোগসাজশ গড়ে উঠেছিল ৷ জানা গিয়েছে, রাত 11টা থেকে ভোর 3টে পর্যন্ত সীমান্ত খুলে কার্যত খুলে দেওয়া হত যাতে সহজেই গরুপাচার করা যায় ৷

চার্জশিটে এও স্পষ্ট করা হয়েছে, বিএসএফের আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে আব্দুল লতিফ, এনামুল হকের মতো একাধিক গরুপাচারের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ৷ এমনকী পাচারকারী এবং গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিএসএফের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরও ৷ আর তাঁরা মাঝে মধ্যেই বৈঠক করতেন বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি ৷ এই বৈঠকগুলিতেই গরুপাচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হত দু’তরফে ৷

ইডি সূত্রে খবর, মূলত কোন কোন গেট দিয়ে রাতের অন্ধকারে গরু পাচার করা হবে তার বিস্তারিত তথ্য আগে থেকেই জানা থাকত ৷ আর সেই মতো বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশে সীমান্তের গেট খুলে দেওয়া হত ৷ সেখান দিয়ে বিনা বাধায় গরুপাচার চলত ৷ মূলত, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ কয়েকটি জেলার সীমান্তে বিএসএফ-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এর আগে গরুপাচার-কাণ্ডে বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ তাঁর নামে বেহিসেবি সম্পত্তির হদিশও পেয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ এমনকী তাঁর শ্বশুর এবং স্ত্রীর নামেও একাধিক সম্পত্তি ছিল বলে উঠে এসেছিল তদন্তে ৷ এ সবের তদন্তে নেমেই গরুপাচারের এই বিশাল বেআইনি কর্মকাণ্ড সামনে আসে ৷ সেখান থেকেই নাম উঠে আসে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম ৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল নিজে ৷ আরও পরে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: তিহাড়েই থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে, গরুপাচার মামলায় চার্জশিট জমা দিল ইডি

তবে, সতীশ কুমার একা নন ৷ তাঁর সঙ্গে সমানভাবে বিএসএফ-এর একাংশ যুক্ত ৷ এমন অভিযোগ এর আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও একাধিকবার তুলেছিল ৷ তাদের দাবি ছিল, সীমান্ত দিয়ে গরুপাচার করা অত সহজ নয় ৷ সেখানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মদত অবশ্যই রয়েছে ৷ এবার ইডি-র চার্জশিটে বিএসএফ-এর মদতের কথা উল্লেখ থাকায়, সেই অভিযোগ আরও প্রকোট হল ৷ স্বভাবতই একাধিক দুর্নীতি মামলা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা শাসক দল এই অভিযোগকে ঘিরে পালটা রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে চাইবে ।

কলকাতা, 5 মে: গরুপাচার কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের পেশ করা চার্জশিটে বিএসএফের নাম উঠে এল ৷ সরাসরি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে গরুপাচারে মদতের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডির পেশ করা চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, গরুপাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি যোগসাজশ গড়ে উঠেছিল ৷ জানা গিয়েছে, রাত 11টা থেকে ভোর 3টে পর্যন্ত সীমান্ত খুলে কার্যত খুলে দেওয়া হত যাতে সহজেই গরুপাচার করা যায় ৷

চার্জশিটে এও স্পষ্ট করা হয়েছে, বিএসএফের আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে আব্দুল লতিফ, এনামুল হকের মতো একাধিক গরুপাচারের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ৷ এমনকী পাচারকারী এবং গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিএসএফের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরও ৷ আর তাঁরা মাঝে মধ্যেই বৈঠক করতেন বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি ৷ এই বৈঠকগুলিতেই গরুপাচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হত দু’তরফে ৷

ইডি সূত্রে খবর, মূলত কোন কোন গেট দিয়ে রাতের অন্ধকারে গরু পাচার করা হবে তার বিস্তারিত তথ্য আগে থেকেই জানা থাকত ৷ আর সেই মতো বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশে সীমান্তের গেট খুলে দেওয়া হত ৷ সেখান দিয়ে বিনা বাধায় গরুপাচার চলত ৷ মূলত, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম-সহ কয়েকটি জেলার সীমান্তে বিএসএফ-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এর আগে গরুপাচার-কাণ্ডে বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ তাঁর নামে বেহিসেবি সম্পত্তির হদিশও পেয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ এমনকী তাঁর শ্বশুর এবং স্ত্রীর নামেও একাধিক সম্পত্তি ছিল বলে উঠে এসেছিল তদন্তে ৷ এ সবের তদন্তে নেমেই গরুপাচারের এই বিশাল বেআইনি কর্মকাণ্ড সামনে আসে ৷ সেখান থেকেই নাম উঠে আসে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম ৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল নিজে ৷ আরও পরে তাঁর মেয়ে সুকন্যাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: তিহাড়েই থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে, গরুপাচার মামলায় চার্জশিট জমা দিল ইডি

তবে, সতীশ কুমার একা নন ৷ তাঁর সঙ্গে সমানভাবে বিএসএফ-এর একাংশ যুক্ত ৷ এমন অভিযোগ এর আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও একাধিকবার তুলেছিল ৷ তাদের দাবি ছিল, সীমান্ত দিয়ে গরুপাচার করা অত সহজ নয় ৷ সেখানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মদত অবশ্যই রয়েছে ৷ এবার ইডি-র চার্জশিটে বিএসএফ-এর মদতের কথা উল্লেখ থাকায়, সেই অভিযোগ আরও প্রকোট হল ৷ স্বভাবতই একাধিক দুর্নীতি মামলা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা শাসক দল এই অভিযোগকে ঘিরে পালটা রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে চাইবে ।

Last Updated : May 5, 2023, 10:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.