কলকাতা, 26 জুন: ফের একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এলেন সিআরপিএফ এবং বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ প্রায় 18 মিনিট বৈঠকের পর বাহিনীর আধিকারিকরা সেখান নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে যান ৷ কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের তরফে যে 315 কোম্পানি বাহিনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার ব্যবহার কীভাবে হবে ? সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, আজ সকালেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৷
রবিবারও বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর আধিকারিকরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করার জন্য গিয়েছিলেন ৷ তার পরেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা ৷ আর আজ সকালে কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ সেখান জানতে চাওয়া হয়, কেন্দ্র ইতিমধ্যে যে 315 কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে, তার ব্যবহার কীভাবে হবে ? সেই ব্লু প্রিন্ট কী কমিশন তৈরি করেছে ? কারণ, তা না হলে বাহিনীকে সেনা ক্যাম্প থেকে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না ৷
সেই চিঠির কয়েকঘণ্টার মধ্যে বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর কয়েকজন আধিকারিক রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ কীভাবে বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে ? কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী যাবে ? তাঁদের কোথায় কোথায় ও কীসের কাজে ব্যবহার করবে কমিশন ? এমন নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় আধাসেনা আধিকারিক এবং কমিশনারের মধ্যে ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত 315 কোম্পানি বাহিনীর ব্যবহারিক ব্লু প্রিন্ট গতকালই তৈরি করে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
সেই বাহিনী আজ বা কালকের মধ্যে রাজ্যে ঢুকতে শুরু করবে ৷ আর তারা রাজ্যে এলেই নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের মোতায়েন করা হবে নির্বাচনী দায়িত্বে ৷ ইতিমধ্যে, নির্বাচন কমিশন আদালতের নির্দেশ মতো 822 কোম্পানির মধ্যে বাকি 485 কোম্পানি বাহিনীর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে ৷ সূত্রের খবর, 315 কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে দায়িত্ব সামলানোর পরেই বাকি বাহিনীর অনুমোদন দেওয়া হবে ৷ উল্লেখ্য, প্রথম দফায় 22 কোম্পানি বাহিনীর জন্য নির্বাচন কমিশন শুরুর দিকেই আবেদন জানিয়েছিল ৷ সেই বাহিনী ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে সব জেলায় ৷