কলকাতা, 14 এপ্রিল: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে । আচার্য ইস্যুতে সংঘাত বাড়ছে শিক্ষা দফতর ও রাজভবনের মধ্যে । "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আচার্য হিসাবে মানি রাজ্যপালকে নয়", শুক্রবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । এর সঙ্গে তিনি জানান, যে ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল, সেই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর তথা মুখ্যমন্ত্রীও কিছু জানেন না ।
আচমকাই এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । সেখানে গিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি । তেমনই বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্যের নাম ঘোষণা করেন রাজ্যপাল । তবে এই বিষয় কিছুই জানে না উচ্চশিক্ষা দফতর, এমনই দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ।
শুক্রবার তিনি জানান, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, বিধানসভায় পাশ হওয়া একটা বিল রাজভবন 20 সপ্তাহের বেশি আটকে রাখতে পারবেন না । কিন্তু গত বছর জুন মাসে একটি বিল পাশ হয়েছে । যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু 10 মাস হয়ে গিয়েছে, তাতে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই । যদি সত্যি তিনি রাজ্যবাসীর মধ্যে একাত্ম হতে চান, তাহলে অবিলম্বে ওই বিল সই করে ছেড়ে দিন । নয়তো আমাদের পাঠান, আমরা আবার বিধানসভায় পাশ করাব ।"
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, রাজ্যে এক ধরনের স্বেচ্ছাচার ঘটাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তা করা যায় না বলেই মত ব্রাত্য বসুর । এ ছাড়া এর আগে কোনও রাজ্যপাল কোথাও আর্থিক ভাবে অনুদান দেননি । ফলে শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, এর আইনি দিক কী আছে সেই বিষয়েও খোঁজ নেবেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়, এর আগে জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালীনও এই উপাচার্য ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে সংঘাত দেখা গিয়েছিল রাজ্যের । যার ফলে নতুন রাজ্যপাল আসার পরই তাঁর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করতেও দেখা গিয়েছে সরকারকে । কিন্তু প্রথম দিকে সব ঠিক থাকলেও ফের ধরা পড়ছে সংঘাতের চিত্র ।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে এড়াতে উপাচার্য নিয়োগে বদল! অর্ডিন্যান্সের ভাবনা ব্রাত্যদের