কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: "মহামান্য আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, আমরা তা মেনেই পদক্ষেপ করেছি ৷ এতে কারও হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই ৷" ওএমআর শিট বিতর্কের (OMR Sheet Manipulation Controversy) জেরে চাকরিহারাদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুক্রবার একথা বলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu on Job Termination) ৷
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Group D Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টকে জানায়, মোট 2 হাজার 820 জনের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপি করা হয়েছিল ৷ বেআইনিভাবে ওএমআর শিটে নম্বর বাড়িয়ে তাঁদের জন্য চাকরির সুপারিশ করা হয়েছিল ৷ এই 2 হাজার 820 জনের মধ্য়ে চাকরি পেয়ে বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত ছিলেন 1 হাজার 911 জন ৷ বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, শুক্রবার দুপুর 12টার মধ্যে এই 1 হাজার 911 জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে ৷ এবং সামগ্রিকভাবে 2 হাজার 820 জনেরই সুপারিশ বাতিল করতে হবে ৷
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে জানান, "এটি সম্পূর্ণভাবে আদালতের বিচারাধীন বিষয় ৷ মহামান্য আদালত যা নির্দেশ দেবে, আমরা সেই মতোই কাজ করব ৷ আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করেছি ৷ কারও হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই ৷ আমরা আশা করছি, পরিস্থিতি আবার অনুকূল হবে ৷" প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্য়েই বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া 1 হাজার 911 জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ সেই প্রসঙ্গেই সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন শিক্ষামন্ত্রী ৷
এই ঘটনায় আরও একটি প্রশ্ন সামনে আসছে ৷ সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ অথচ তার ঠিক আগে স্কুলগুলিতে চাকরি খোয়ালেন প্রায় 2 হাজার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ৷ এতে কি স্কুলের কাজ চালাতে অসুবিধা হবে না ? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন, "এই বিষয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হবে কিনা, সেটা পর্ষদই ভালো বলতে পারবে ৷ আমার মনে হয়, তারা বিকল্প কোনও ব্যবস্থা অবশ্যই করবে ৷"
আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে কারচুপি প্রমাণিত ! চাকরি গেল 2 হাজার 820 জনের
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবৈধভাবে নিযুক্তদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলে যে শূন্যস্থান তৈরি হবে, সেই জায়গায় যত দ্রুত সম্ভব ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে ৷ উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে 6 হাজার 988 জন প্রার্থী এখনও ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে থেকেই যোগ্যতমদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷ তবে, সেই প্রক্রিয়া কত দিনে সারা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ৷