কলকাতা, 14 মার্চ: বোর্ড গঠনের আগেই রাজ্যের দুই পৌরসভার দুই কাউন্সিলর খুনের (protest on councilors murder) ঘটনার আঁচ এসে পড়ল রাজ্য বিধানসভায় (BJP walks out from Assembly)। সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার বিধানসভায় এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করলেন বিরোধীরা । যদিও অধ্যক্ষ বিরোধীদের এই দাবিকে আমল দেননি । এই অবস্থায় আরও একবার প্রবল বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধী বিধায়করা । তাঁরা দলবদ্ধ ভাবে এই নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন ।
বিধানসভার ভেতরেই নয়, এ দিন বিধানসভার বাইরেও এই বিষয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়করা । এমনিতেই তাঁদের 2 বিধায়ককে বাজেট অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা নিয়ে তাঁরা উত্তেজিত ছিলেন । এর মধ্যে কাউন্সিলর খুনের ঘটনা তাঁদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে । এ দিন বিজেপি বিধায়কেরা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন । তাঁদের প্রশ্ন, যেখানে শাসক দলের কাউন্সিলারের কোনও নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় ?
আরও পড়ুন: Panihati Councillor Murder : পানিহাটিতে কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার সুপারি কিলার
বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এ দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, পানিহাটি এবং ঝালদাতে দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং এদের শাস্তি দিতে হবে । তাঁর দাবি, ঝালদায় তপন কান্দু ও পানিহাটিতে অনুপম দত্তের খুন নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিবৃতি দিতে হবে । তাঁর কথায়, কাউন্সিলর তৃণমূলের (TMC councilor murder) হোক বা কংগ্রেসের, তাতে কিছু যায় আসে না । আসলে এটা আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন । কেন বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে । এর জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতেই হবে ।
এ দিকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, 24 ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে । অথচ বিজেপি সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের মুখ দেখানোর জন্য এ ধরনের নাটক করছে । বাংলার মানুষ জানে, আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নে এই সরকার কতটা কড়া । কাজেই তাঁদের চিৎকারে বাস্তবে কোনও লাভ হবে না ।
আরও পড়ুন : Political Murder in Purulia : ঝালদায় কাউন্সিলরকে খুনের প্রতিবাদে বনধের ডাক