কলকাতা, 13 নভেম্বর: গতবছর মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ৷ মহুয়া তখন জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেও মা কালীর একজন ভক্ত, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে ৷ রবিবার মা কালীর সামনে হাত জোর করে দাঁড়িয়ে নিজের ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিয়েছেন মহুয়া ৷ তারপরেই থেকেই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই কি মায়ের স্মরনাপন্ন হওয়া ? প্রবচন আছে "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দুর "। তাই এবার মা কালীর উপর বিশ্বাস রেখেই কি বিতর্কের বৈতরণী পার করতে চাইছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র?
-
Happy Kali Puja- Maa rules
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 12, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
ও তোর নামে কালী মুখে কালী
অন্তরে তোর নাই কালী মা pic.twitter.com/b73mwttlvf
">Happy Kali Puja- Maa rules
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 12, 2023
ও তোর নামে কালী মুখে কালী
অন্তরে তোর নাই কালী মা pic.twitter.com/b73mwttlvfHappy Kali Puja- Maa rules
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 12, 2023
ও তোর নামে কালী মুখে কালী
অন্তরে তোর নাই কালী মা pic.twitter.com/b73mwttlvf
কালীপুজোর দিন মহুয়া ওই ছবিটি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তার সঙ্গে লিখেছেন,"Happy Kali Puja- Maa rules ও তোর নামে কালী মুখে কালীঅন্তরে তোর নাই কালী মা ৷" তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে জল্পনা । সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময় সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে । মনে করা হচ্ছে যে আগামী মাসে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে কৃষ্ণনগরের সাংসদের । তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন কারা অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
মহুয়ার এই ছবিকে নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি ৷ সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "প্রথমে মা কালীকে নিয়ে ওই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, আবার এখন মা কালীর সামনে হাত জোড় করছেন । এটা শুধুমাত্র খবরে আসার জন্য । তিনি অনেক সময়ই সংসদে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে খুব খারাপ কথা বলেছেন । গালাগালি দিয়েছেন। এই জন্য তাঁকে স্পিকার সতর্ক করেছেন । উনি বহুবার বিতর্কিত কথা বলেছেন। উনি কথাগুলি ইংরেজি ভাষা দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন । এখনও তাই করছেন । এখন ধরা পড়ে গিয়েছেন ৷ তিনি যেটা করেছেন একেবারেই সাংবিধানিকভাবে সংসদীয় রীতিনীতির পক্ষে নয় । দেশের পক্ষেও ঠিক নয়। ওনার ব্যবহার সংসদের ভিতরেও বিতর্কিত।" দিলীপ ঘোষ আরও জানান, একজন সাংসদ লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি । এর তো কেউ শিশু নন। তাঁকে স্পিকার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি যদি সাবধান না হন তাহলে হয়তো এই জন্যেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে ।
এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন,"মহুয়া মৈত্র কাকে প্রণাম করছেন বা কাকে প্রত্যাখ্যান করছেন এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীর তেমন একটা উৎসাহ নেই। এখন তাঁর কীর্তির জন্য সারা দেশবাসী তাঁকে জেনে গিয়েছেন । এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গবাসীর তৃণমূল সম্বন্ধে আর কোনও উৎসাহ নেই । তৃণমূলের থেকে মানুষ এখন পরিত্রাণ চাইছে । তৃণমূলের বিসর্জন অবশ্যম্ভাবী। তাই কেউ মা কালীর সামনে দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন, কেউ তুলসী তলায় বাতি দিতে পারেন কিংবা কেউ আবার শীতলা পুজোর সময় দণ্ডি কাটতে পারেন। কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় খুব একটা কিছু পরিবর্তন আসবে না এসব করে।"
মহুয়াকে নিয়ে আগেই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ৷ মহুয়ার সাংসদ পদ গিয়ে তাঁর কড়া শাস্তি ও প্রয়োজনে সাংসদের জেল হওয়া উচিত বলেও মনে করেন শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন: