ETV Bharat / state

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অরাজনীতিকরণ প্রয়োজন : স্বপন দাশগুপ্ত - স্বপন দাশগুপ্ত

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 নিয়ে সেমিনার ছিল । সেই সেমিনারে যোগ দিতেই বিশ্বভারতীতে গিয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছোতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়াদের একাংশ । তাদের অভিযোগ, BJP বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার করতে চাইছে । প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন স্বপন দাশগুপ্ত ।

Swapan Dasgupta
স্বপন দাশগুপ্ত
author img

By

Published : Jan 9, 2020, 9:18 PM IST

কলকাতা, 9 জানুয়ারি : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়েছিলেন BJP সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত । সেখানে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । ঘেরাও করে রাখে দীর্ঘক্ষণ । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বপন দাশগুপ্ত । সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অরাজনীতিকরণের কথা জানান তিনি । বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে । তাই সেখানে সক্রিয়ভাবে অরাজনীতিকরণ করতে হবে ।"

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 নিয়ে সেমিনার ছিল । সেই সেমিনারে যোগ দিতেই বিশ্বভারতীতে গিয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছোতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়াদের একাংশ । তাদের অভিযোগ, BJP বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার করতে চাইছে । প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন স্বপন দাশগুপ্ত ।

আজ বিশ্বভারতীর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি । বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে । এতে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক সামনে আসছে । সেটা হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অরাজনীতিকরণ । সক্রিয়ভাবে এই কাজটা করতে হবে । নাহলে 70 দশকের মতো হবে । পড়ুয়াদের পড়াশোনা লাটে উঠবে । সেই পরিবেশ যাতে না হয় তাই সুশীল সমাজের সাহায্যে একটা উদ্যোগ নেওয়া উচিত । এর মানে রাজনৈতিক চর্চা হবে না তা নয় ।"

বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, "বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল আমাকে কেন বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয়েছে ? তার কারণ প্রথমত, আমি CAA নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি । দ্বিতীয়ত, CAA-র একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলাম । তাই আমি মনে করি আমার মৌলিক অধিকার রয়েছে এই বিষয়ে বলার । আপনি আমার মতের বিরোধিতা করতে পারেন । বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল, CAA-র পক্ষে যারা তাদেরই শুধু কেন বলা হয়েছে সেমিনারে? বিশ্বভারতীর উপাচার্য আগেই জানিয়েছেন যে, সবাইকেই বলা হয়েছিল। যারা এই আইনের বিরুদ্ধে তাঁদেরও সেমিনারে এসে বক্তব্য পেশ করার কথা বলা হয়েছিল । তাঁরা আসেননি । তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, আমাদের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করবেন না । তাঁরা একতরফা বক্তব্য রাখতে চান । কোনও চর্চা তাঁরা চান না ।"

গতকাল যারা বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তারা বহিরাগত বলে দাবি করেন BJP সাংসদ । তিনি বলেন, "যারা লাল ঝান্ডা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল, স্লোগান দিচ্ছিল, যারা বাইরে দাঁড়িয়েছিল তারা কিন্তু কেউ ছাত্র ছিল না । তারা ওখানকার স্থানীয় ছিল । "

পরশু দিন প্রধানমন্ত্রী আসছেন । সেখানেও বাধা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান স্বপন দাশগুপ্ত । তিনি বলেন, "পরশু দিন প্রধানমন্ত্রী আসছেন । তাঁকে যাতে এয়ারপোর্ট থেকে বেরোতে দেওয়া না হয় । প্রধানমন্ত্রীকে কোনও প্রোগ্রামে যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য ক্যাম্পাসের ভিতর ও বাইরে একটা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন কিছু বিদেশি ছাত্রও এই সবকিছুর মধ্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন ।"

কলকাতা, 9 জানুয়ারি : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়েছিলেন BJP সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত । সেখানে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় । ঘেরাও করে রাখে দীর্ঘক্ষণ । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন স্বপন দাশগুপ্ত । সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অরাজনীতিকরণের কথা জানান তিনি । বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে । তাই সেখানে সক্রিয়ভাবে অরাজনীতিকরণ করতে হবে ।"

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 নিয়ে সেমিনার ছিল । সেই সেমিনারে যোগ দিতেই বিশ্বভারতীতে গিয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত । কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছোতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়াদের একাংশ । তাদের অভিযোগ, BJP বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার করতে চাইছে । প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন স্বপন দাশগুপ্ত ।

আজ বিশ্বভারতীর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি । বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে । এতে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক সামনে আসছে । সেটা হল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অরাজনীতিকরণ । সক্রিয়ভাবে এই কাজটা করতে হবে । নাহলে 70 দশকের মতো হবে । পড়ুয়াদের পড়াশোনা লাটে উঠবে । সেই পরিবেশ যাতে না হয় তাই সুশীল সমাজের সাহায্যে একটা উদ্যোগ নেওয়া উচিত । এর মানে রাজনৈতিক চর্চা হবে না তা নয় ।"

বিক্ষোভ প্রসঙ্গে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, "বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল আমাকে কেন বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয়েছে ? তার কারণ প্রথমত, আমি CAA নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছি । দ্বিতীয়ত, CAA-র একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলাম । তাই আমি মনে করি আমার মৌলিক অধিকার রয়েছে এই বিষয়ে বলার । আপনি আমার মতের বিরোধিতা করতে পারেন । বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল, CAA-র পক্ষে যারা তাদেরই শুধু কেন বলা হয়েছে সেমিনারে? বিশ্বভারতীর উপাচার্য আগেই জানিয়েছেন যে, সবাইকেই বলা হয়েছিল। যারা এই আইনের বিরুদ্ধে তাঁদেরও সেমিনারে এসে বক্তব্য পেশ করার কথা বলা হয়েছিল । তাঁরা আসেননি । তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, আমাদের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করবেন না । তাঁরা একতরফা বক্তব্য রাখতে চান । কোনও চর্চা তাঁরা চান না ।"

গতকাল যারা বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তারা বহিরাগত বলে দাবি করেন BJP সাংসদ । তিনি বলেন, "যারা লাল ঝান্ডা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল, স্লোগান দিচ্ছিল, যারা বাইরে দাঁড়িয়েছিল তারা কিন্তু কেউ ছাত্র ছিল না । তারা ওখানকার স্থানীয় ছিল । "

পরশু দিন প্রধানমন্ত্রী আসছেন । সেখানেও বাধা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান স্বপন দাশগুপ্ত । তিনি বলেন, "পরশু দিন প্রধানমন্ত্রী আসছেন । তাঁকে যাতে এয়ারপোর্ট থেকে বেরোতে দেওয়া না হয় । প্রধানমন্ত্রীকে কোনও প্রোগ্রামে যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য ক্যাম্পাসের ভিতর ও বাইরে একটা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন কিছু বিদেশি ছাত্রও এই সবকিছুর মধ্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন ।"

Intro:09-01-20




সুজয় ঘোষ, কলকাতা




কলকাতাঃ "বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গত কয়েকদিনধরে যা হচ্ছে। তাতে ভাবার সময় এসেছে রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত শিক্ষাঙ্গনে। শিক্ষার অঙ্গ হিসাবে রাজনৈতিক চর্চা হতে পারে" আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত।






তিনি বলেন,কালকে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন না করলে আমরা উদ্ধার হতাম না। ভিতর থেকে জানতে পারি রড হাতে বহিরাগতরা ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে চলে যায়। রাজ্যের রাজ্যপালের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ যে তিনিও এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন।












তিনি বলেন, আমি একটা মত সমর্থন না করতে পারি। কিন্তু বিরুদ্ধমত প্রকাশ করা যাবে না। এ কেমন অবস্থা। গতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তাদের মূল প্রশ্ন ছিলো কেনও CAA- এর সমর্থনেই বক্তব্য রাখা হল। কেনও বিরুদ্ধ মতের কোনও বক্তা ছিলেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি CAA নিয়ে আলোচণায় বিরুদ্ধ মতের অনেকের অংশ নেওয়ার কথা ছিলো। তারা যদি না আসে সে ক্ষেত্রে আমার কী করার আছে। তাদের আরও একটা প্রশ্ন আমাদের বক্তা হিসাবে নিমন্ত্রন করা হয়েছিলো কেনও। আমার উত্তর হল CAA নিয়ে আলোচণার জন্য যে কমিটি ছিলো। আমি সেই কমিটির সদস্য। বিষয়টি সংসদে পেশ হওয়ার আগে আমি সি বিল বা আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। স্বাভাবাইক কারনেই বিষয়টি সম্পর্কে আমন্ত্রন করা হয়েছিলো।


আরও বলেন, আমার কাছে যা খবর আছে। গতকাল যারা বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না। তাদের ম মধ্যে বহিরাগতারা ছিলো। তারা স্থানীয় তৃণমূল নেতার অনুগত। আমি জানিয়ে রাখি বিশ্বভারতীর কোর কমিটির সদস্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত ছিলাম।

Body:StoryConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.