কলকাতা, 21 মার্চ: বাজেটের উপর আলোচনা চলাকালীন শাসক দলের কাউন্সিলররা বলতে গিয়ে বারবারই কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) ও বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করেছেন । রাজ্যের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন । এদিন বাজেটের উপর বলতে উঠে সেই আক্রমণের জবাব দিলেন সজল ঘোষ (BJP Councilor Sajal Ghosh) । বললেন, ‘‘তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলররা যেভাবে রাজ্যের বকেয়া দাবি করে আমার কাছে জবাব চাইছেন, তাতে মনে হচ্ছে এটা লোকসভা ।’’
এর পর তিনি মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Kolkata Mayor Firhad Hakim) ও চেয়ারপার্সন মালা রায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘প্রত্যেক দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে একটা সর্বদল প্রতিনিধিদল গঠন করুন । সকলে এক সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে কর্পোরেশনের জন্য দরবার করি ।’’ এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘রাজ্যের দাবিতে বিধানসভায় সব দল মিলে দিল্লি যাওয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল । যাওয়ার তারিখ ঠিক করার সময় বিজেপি বলেছে যাব না । আর দিল্লির কাছে তো কলকাতা কর্পোরেশন ক্ষুদ্র ব্যাপার । পাত্তাই দেবে না । পৌরমন্ত্রী হিসেবে একাধিক কর্পোরেশনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে যাওয়া আলাদা ।’’
এর পর সজল কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘মেয়রকে বলতে শুনেছি হাজার হাজার কোটি টাকা কর্মীদের বেতন দিতে চলে যায় । যেভাবে স্থায়ী কর্মী কমছে, তাতে স্থায়ী পদে আর কয়েক বছরে কেউ থাকবে না । বাজেট ঘাটতি কমে যাবে তাহলে । আগে আমার ওয়ার্ডে 76 জন সাফাই কর্মী ছিলেন ৷ এখন 46 জন । সুপাভাইজারের বেতন 10 হাজার । ওদিকে সাফাই কর্মীর 40 হাজার । সুপারভাইজার 100 দিনের কর্মী । তাঁকে মাসের প্রথমে ঝাড়ুদারদের থেকেই টাকা ধার করতে হয় ৷ তাহলে আর কাজ করবে কী করে ?’’
এদিন বাজেটের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি । বাজেট অঙ্কের জাগলারী দাবি করে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসেব রক্ষকের প্রসঙ্গে টেনেছেন । তিনি বলেন, ‘‘মণীশ কোঠারির মতো কেউ এই বাজেট তৈরি করেছেন ।’’ এই মন্তব্যের জেরে তীব্র হইচই হয় । পালটা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জবাবে বলেন, ‘‘ভগবান এরা কী করছে নিজে জানে না ! এদের ক্ষমা করে দাও । এই বাজেট কোনও চাটার্ড একাউন্টেন্ট করেন না ৷ রাজ্য সরকারের অর্থ বিভাগের তরফে নিয়োগ করা আধিকারিকের নেতৃত্বে করা হয় ।’’
আরও পড়ুন: কেএমসি'র বাজেট অধিবেশনে মোবাইলে ব্যস্ত কাউন্সিলর, কড়া নিদান চেয়ারপার্সনের