কলকাতা, 26 অক্টোবর: প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিল্পপতি-সহ বিশিষ্টদের জন্য বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর এই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হত ইকোপার্কে। এ বছর আলিপুর জেল মিউজিয়ামে এই বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নবান্ন সূত্রে তেমনটাই খবর।
প্রসঙ্গত, পুজো মিটতেই বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজ্যের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে আধিকারিকেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজয়ার প্রণাম সারতে কালীঘাটে যান। সেখানেই দলের নেতাকর্মীদের কার্নিভাল পর্যন্ত এলাকা ছাড়তে নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যের পুলিশকর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যেহেতু উৎসবের মরশুম এখনও চলছে, তাই তাঁরা যেন সতর্ক থাকেন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও নির্দেশ দেন যে, বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা বা কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। জানা গিয়েছে, এদিনই রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের তিনি এ বছর বিজয়া সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতর এই বিজয়ের সম্মেলনী আয়োজনের দায়িত্বে থাকে। সূত্রের খবর, এ বছর বিজয়া সম্মেলনে হতে চলেছে আলিপুরের নবনির্মিত জেল মিউজিয়ামে। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মিউজিয়াম হিসাবে সাজিয়ে তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটি সুন্দর ক্যাফেটেরিয়াও তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বেশ কিছুটা জায়গাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই পরিসরেই এবার বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন হতে চলেছে। আগামী 9 নভেম্বর এই বিজয়া সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্যের প্রথম সারির আমলা পুলিশকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন শিল্প-মহলের প্রতিনিধিরা। সেখানেই রাজ্য সরকারের তরফে মিষ্টিমুখেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাবেন বলে জানাবেন বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পুজো কার্নিভালে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা, মঞ্চের উচ্চতা কিছুটা কম
অন্যদিকে, শুক্রবার। পুজোর আগে থেকেই রেড রোডে পুজো কার্নিভালের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার বিজয়া দশমী শেষ হতে না হতেই চূড়ান্ত তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী গ্যালারি এবং চেয়ারের দর্শকাসন। এই বছর 100টি পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে ৷