কলকাতা, 18 এপ্রিল : রাজ্যে বাড়ছে করোনার দাপট ৷ দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সবথেকে বেশি পড়েছে কলকাতায় ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিন বলছে, কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ দুই হাজারেরও বেশি ৷ কলকাতায় ভোট এখনও বাকি রয়েছে ৷ শেষ দুই দফায় কলকাতার 11 টি আসনের ভোটগ্রহণ রয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে করোনা সামাল দিতে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মমতা ৷ কলকাতায় তিনি শুধুমাত্র একটিই নির্বাচনী সভা করবেন ৷ বিডন স্ট্রিটে একটি সভা ছাড়া কলকাতার বুকে আর কোনও জনসভায় তিনি থাকবেন না ৷ একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজ এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ কলকাতায় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মানেই সেখানো হাজারো মানুষের ভিড় ৷ সেটা তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেও ভাল বোঝেন ৷ আর গোটা কলকাতাটাই তো সেই অর্থে দেখতে গেলে তৃণমূলের দূর্গ ৷ উনিশের লোকসভা ভোটেও কলকাতায় সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির ৷ সেখানে দাঁড়িয়ে কলকাতায় মমতার জনসভা হলে ভিড় যে বাধন ভাঙা হবে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই কলকাতায় একটিমাত্র সভা করবেন বলে জানিয়ে দিলেন নেত্রী ৷
তৃণমূল সুপ্রিমো কলকাতায় একটিমাত্র সভা করলেও, দলের অন্যান্য সভাগুলি সূচি মেনেই হবে ৷ তবে এক্ষেত্রে সভায় আকার ছোট করে নেওয়া হবে বলেও বেসরকারি ওই সংবাদমাধ্যমে জানান তিনি ৷
আরও পড়ুন : কলকাতায় একদিনে 2000, সংক্রমণের নতুন আতঙ্ক ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে
কলকাতায় যে হারে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একইসঙ্গে রাজ্যে করোনার লাগামছাড়া করোনার সংক্রমণেরক জন্য নির্বাচন কমিশনের আট দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্তকেও দুষলেন ৷ বললেন, করোনা যাতে না ছড়ায়, তার জন্য কমিশনের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলেন শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করানোর জন্য ৷ বাদ দিলেন না বিজেপিকেও ৷ মমতার অভিযোগ, বিজেপি যে সভাগুলি করছে, সেগুলির মঞ্চ বাধার জন্য ভিন রাজ্য থেকে লোকেদের নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ বহু মানুষকে রাজ্যে নিয়ে এসেছে বিজেপি ৷ তাঁদের কারও করোনা রয়েছে কি না তা দেখা হয়নি ৷ সেখান থেকেও রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী ৷
তবে করোনাকে নিয়ে খুব একটা ভীত না হওয়ার জন্য রাজ্যবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন মমতা ৷ বললেন, "ঝড় উঠলে ঝড় সামলাতে হবে ৷ ভয়ের কিছু কারণ নেই ৷ আগেও আমরা করোনাকে সামাল দিয়েছি ৷" একইসঙ্গে অযথা হাসপাতালের বেড আটকে না রাখার জন্যও অনুরোধ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷