কলকাতা, 29 মার্চ : দ্বিতীয় দফার ভোটের ঠিক আগে বোমা ফাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নন্দীগ্রামে চটি পরা পুলিশ প্রবেশের দায় সরাসরি অধিকারী পরিবারের উপর চাপিয়েছেন তিনি ৷ দিনদুয়েক পর নন্দীগ্রামের মানুষ ভোট দেবেন ৷ তার আগে মমতার মন্তব্যে হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর প্রশ্ন, এমনটা যদি হয়ে থাকে তাহলে 10 বছর ক্ষমতায় থেকে কেন তিনি তদন্ত করাননি ?
গতকাল নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় মমতা বলেন, "যারা গুলি চালিয়েছিল আপনাদের মনে আছে ? পুলিশের ড্রেস পরে এসেছিল ৷ হাওয়াই চটি পরে এসেছিল বলে ধরা পড়ে গিয়েছিল ৷ এই বাপ-ব্যাটার পারমিশন ছাড়া নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না ৷" মমতার এই দাবির পাল্টা অভিযোগ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "উনি তো দশ বছর ক্ষমতায় রয়েছেন ৷ কেন তদন্ত করে তথ্য সামনে আনলেন না ? যে পুলিশ অফিসার সেদিন গুলি চালিয়েছিল আজ সে তৃণমূলের নেতা হয়েছে ৷ যারা দোষী তাদের সাজা দেননি ৷ উনি সেটিং করে এসব করেছেন ৷ ক্ষমতায় আসার পর নন্দীগ্রামের মানুষগুলির কথা উনি ভুলে গিয়েছেন ৷"
আরও পড়ুন : বাপ ব্যাটার অনুমতিতে ঢুকেছিল চটি পরা পুলিশ, বিস্ফোরক মমতা
বিভিন্ন সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার গদ্দার বলে সম্বোধন করেছেন তৃণমূল নেত্রী ৷ এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "যিনি প্রাণ বাজি রেখে ওঁকে জেতালেন সেই শুভেন্দু আজ গদ্দার হয়ে গিয়েছেন ৷ 25 বছর ধরে অধিকারী পরিবার ওঁর সঙ্গে ছিলেন ৷ আজ আমাদের পার্টির নেতাকে ফোন করে বলছেন, ফিরে এস ৷ আর অন্যকে গদ্দার বলছেন ৷ গদ্দারি উনি শুরু করেছিলেন ৷ তাই অন্যকে গদ্দার বলার অধিকার ওঁর নেই ৷"
তিনি আরও বলেন, "নন্দীগ্রামে হার নিশ্চিত জেনে অভিযোগের পর অভিযোগ করছেন মমতা ৷ টেলিফোন করে বিজেপি নেতার সাহায্য চাইছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহঙ্কার চূর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ তাই বিভিন্ন লোককে ফোন করে অনুনয়-বিনয় করছেন ৷ উনি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন ৷"