কলকাতা, 13 মে: আবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার এক ঢিলে দুই পাখি অর্থাৎ রথ দেখার পাশাপাশি কলা বেচাও সেরে আসবেন তিনি । অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্বও যেমন পালন করবেন, তেমনই তৃণমূল নেত্রী হিসেবে বিরোধী জোট তৈরির প্রক্রিয়াতেও সামিল হবেন ৷
গত কয়েকদিন ধরেই নবান্নে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল, চলতি মাসের শেষেই দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী । শনিবার স্পষ্ট হল আগামী 27 মে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যতদূর জানা যাচ্ছে এই সফরের সময়ই বিরোধী জোট নিয়ে জাতীয় ক্ষেত্রে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হতে পারেন তিনি ।
শনিবারই কর্ণাটকে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেস । সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তি হিসেবে ক্ষমতা দখল করেছে তারা । ঠিক ওইদিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চলতি মাসের শেষের দিকে নীতি আয়োগের বৈঠকে দিল্লি যেতে পারেন । একই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, এই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ডাকে বিরোধীদের সমন্বয়ে বৈঠকেও যোগ দিতে পারেন তিনি ।
আগে ঠিক ছিল কর্ণাটকের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর জাতীয় স্তরে 2024 এর লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে সমন্বয় বৈঠক হতে পারে আগামী 18 মে । কিন্তু এরই মাঝে দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতির বিষয়টি সামনে আসে । তারপরই ঠিক হয় ওই সময়েই বিরোধীরা বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে পারে ৷
সেই মতো 27 মে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান করেন, সেক্ষেত্রে একই সঙ্গে বিরোধী জোটের নিউক্লিয়াস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে একটা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে । যতদূর জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীতীশ কুমার ছাড়াও উপস্থিত থাকতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও । থাকতে পারেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও । এখন দেখার সেখান থেকে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় কি না !