কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পুনরুজ্জীবিত করতে বদ্ধপরিকর বঙ্গ বিজেপি । নবান্ন অভিযান শেষ হতে না হতেই আইসিসিআরএ সোমবারই শেষ হল গেরুয়া শিবিরের দু'দিনের সাংগঠনিক বৈঠক(Bengal BJP 2 Days Organisational Meeting)।
আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপরেই লোকসভা নির্বাচন । তাই বিজেপির এখন পাখির চোখ এই দুটি ইভেন্ট । স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য বিষয় আলোচনা হলেও মূলত পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করাই ছিল দু'দিন ব্যাপী এই বৈঠকের আসল উদ্দেশ্য ।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ঘুঁটি সাজিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি করা হয় । একদিকে যেমন রাজ্যে এসেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল অন্যদিকে রাজ্যের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরাও যোগ দেন রবি-সোমের এই বৈঠকে । কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পর্যবেক্ষক সুনীল বানসাল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লেখারা ও অমিত মালব্য-সহ অন্যান্যরা ।
আরও পড়ুন : সোশাল মিডিয়ায় তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সাংগঠনিক সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী -সহ অন্যান্যরা ।
দলীয় স্তরে রদবদলের পর কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন সুনীল বানসাল । সম্প্রতি সুনীল বানসলের পাশাপাশি পর্যবেক্ষক করা হয়েছে মঙ্গল পাণ্ডেকে । অন্যদিকে অমিত মালব্যর সঙ্গেই সহ-পর্যবেক্ষক করা হয়েছে আশা লেখারাকে । সব মিলিয়ে আইসিসিআরে এই বৈঠক একটি মেগা ইভেন্টের চেহারা নেয় ।
'চোর ধরো জেল ভরো' এবং 'নবান্ন অভিযান' এর মতো শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে আরও বড় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে দলকে । নেতৃত্বের তরফে এই বার্তাও দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন : বিজেপি বিধায়কের গাড়ি লক্ষ করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে