কলকাতা, 6 এপ্রিল : অলিম্পিকের স্বপ্ন নতুন করে দেখছেন আয়ূষী। পিছিয়ে যাওয়া টোকিও অলিম্পিক কারও কাছে সর্বনাশ, আবার কারও কাছে পৌষমাস। ত্রিপুরার দীপা কর্মকার, ভদ্রেশ্বরের আয়ুষী পোদ্দার দ্বিতীয় সারিতে। কোরোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী লকডাউনে ক্রীড়া দুনিয়ার ছবিটা বদলে গিয়েছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে নতুনভাবে নিজেদের গড়ে নিচ্ছেন দীপা, আয়ূষীরা।
হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বরের আয়ূষী পোদ্দার এই মুহুর্তে ভারতীয় শুটিংয়ের ক্রমপর্যায়ে দুই নম্বরে রয়েছেন । পিছিয়ে যাওয়া অলিম্পিকের যোগ্যতা মান নির্ণয়ে ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া নতুন করে মানদণ্ড ঠিক করার ইঙ্গিত দিয়েছে । বেজিং অলিম্পিকের শুটিংয়ে সোনা জয়ী শুটার অভিনব বিন্দ্রা বলেছেন, মাঝের একবছরে অনেকের সামনে অলিম্পিকের দরজা খুলে দিতে পারে ।
বাবা প্রকাশ পোদ্দারের কোচিংয়ে বুলস আই শুটিং রেঞ্জে শুধু লক্ষ্যভেদ করাই নয়, আয়ূষী অত্যাধুনিক ট্রেনিংয়ের মধ্যে দিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজেকে । তাই টোকিওগামী বিমানে জায়গা পাকা করতে মাঝের সময়টা নিঙড়ে দেওয়াকে পাখির চোখ করেছেন।
লকডাউনর মধ্যে অ্যারাবিক নাচ এবং মেন্টাল এক্সারসাইজ করে নিজেকে তৈরি করছেন আয়ূষী। NRAI যদি টোকিও অলিম্পিকের দরজা খোলে তার জন্য নিজের পারফরম্যান্স গ্রাফটা যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই শুরু করতে চান।
ভদ্রেশ্বরের 19 বছরের শুটার সাম্প্রতিক সময়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন। পঞ্চাশ মিটার রাইফেলের থ্রি পজিশনে দুই নম্বরে দাঁড়িয়ে আয়ূষী। এই বিভাগের সিনিয়র পর্যায়ে এক নম্বরে রয়েছেন অঞ্জুম মুদগিল। যাঁর সঙ্গে আয়ূষীর পয়েন্টের ব্যবধান তিন দশমিক তিন পাঁচ।
টোকিও অলিম্পিকের জন্যে 15 জনের কোটা পেয়েছে ভারত । দেশের সেরা শুটারদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পারফরম্যান্সের বিচারে এবং অর্জিত পয়েন্টের ভিত্তিতে এই যোগ্যতা মান নির্ধারিত হবে।
আয়ূষী 2018 সালে জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হওয়ায় পিছিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু জার্মানির জুনিয়র ওয়ার্ল্ড কাপে 1137 এবং 1154 পয়েন্ট করে ফিরে আসেন। গত ডিসেম্বরে ভোপালে জাতীয় শুটিংয়ে রূপো জয়ের পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে খেলো ইন্ডিয়াতে সোনা জিতেছেন আয়ূষী। এখানেই শেষ নয়, দিল্লিতে অলিম্পিকের ট্রায়ালে 1200 পয়েন্টের মধ্যে 1168 পয়েন্ট করে ফের আলোচনায় ভদ্রেশ্বরের কিশোরী।