কলকাতা, 21 মার্চ: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গোপন তথ্য ফাঁস ৷ ইডির মধ্যেই এই তথ্য ফাঁসের ইঙ্গিত মিলেছে ৷ শান্তনুর সূত্র ধরে সদ্য ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সল্টলেকের প্রোমোটার অয়ন শীল ৷ তাঁর বাড়িতে টানা 37 ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ৷ এদিকে অয়নের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি ধরা পড়ে ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডির তল্লাশি অভিযানের ঠিক আগের দিন অয়নের হোয়াটসঅ্যাপে একটি সতর্কবার্তা আসে ৷ সেটি অয়নের বান্ধবী শ্বেতার নম্বর থেকে করা হয়েছে (Ayan Sil gets indication over ED search operation) ৷
ফলে এখানে প্রশ্ন উঠছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোপন অভিযানের খবর অয়নের বান্ধবীর কাছে কীভাবে পৌঁছল ? তাহলে কি বান্ধবীর সঙ্গে ইডির কোনও তদন্তকারী আধিকারিকের যোগ রয়েছে ? নাকি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া প্রভাবশালীদের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী রহস্যময়ী নারী অয়নের বান্ধবী শ্বেতা ?
ইতিমধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর খোঁজ শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা ৷ জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশির ঠিক আগের দিন হোয়্যাটসঅ্যাপ করে অয়নকে সতর্ক করেছিলেন তাঁর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী ৷ ইডি সূত্রে খবর, সেই হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, অয়নের বাড়িতে খুব শিগগিরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হানা দিতে পারে ৷ ফলে তিনি যেন কোনও জায়গায় গা ঢাকা দেন ৷ এ ধরনের সতর্কবার্তা কীভাবে অয়নের কাছে এল ? অয়নের বান্ধবীই বা ইডি-অন্দরের খোঁজ পেলেন কী করে, তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷ প্রসঙ্গত, 19 মার্চ, শনিবার শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷
অয়ন শীলকে জেরা করে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন পৌরসভায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে একাধিক বরাত পেয়েছিলেন তিনি ৷ এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও নতুন নতুন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হদিশ মিলেছে ৷ প্রভাবশালীরা মূলত চাকরি বিক্রি করতে সাহায্য করতেন ৷ ফলে খুব দ্রুত তাঁদের নামের একটি তালিকা সামনে এনে একে একে তাঁদের ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷
আরও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের পাশাপাশি আইটি সংস্থার মালিক, বহুমুখী প্রতিভা অয়নের